বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় চুয়েটের ৪ শিক্ষক

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চার শিক্ষক ২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত বিশ্বসেরা দুই শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার যৌথভাবে এ তালিকা প্রকাশ করে।

তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন-যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল ভূঞা,
বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমিত মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ আলী এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোক্তার হোসাইন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিকল্প জ্বালানি ও শক্তি রূপান্তর, পদার্থবিজ্ঞানে অবদান, বাল্ক সিলিকন ক্রিস্টাল গ্রোথ উদ্ভাবন এবং পরিধানযোগ্য বায়োসেন্সর, স্মার্ট টেক্সটাইল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে গবেষণার জন্য তারা তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রের সংখ্যা, মান, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, সহ-লেখকদের প্রভাবসহ নানা সূচক বিশ্লেষণ করে প্রতি বছর এ তালিকা তৈরি করা হয়।

এ তালিকায় দুটি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। এর একটি হলো পুরো পেশাগত জীবনের ওপর। আরেকটি শুধু এক বছরের গবেষণা কর্মের ওপর।

মোট ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র ও ১৭৪টি উপক্ষেত্রে শ্রেণিবদ্ধ করে মোট ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৪ জন গবেষককে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে গবেষক ড. মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল ভূঞা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করেছি গবেষণায়। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে 'সেকেন্ড জেনারেশন বায়ো ডিজেল' কীভাবে উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছি।

গবেষক অধ্যাপক মো. আশরাফ আলী বলেন, 'মেটেরিয়াল ডিজাইন ও মডেল নিয়ে গবেষণা করেছি। থার্ম ইলেকট্রিক ম্যাটারিয়াল, সোলার সেল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ হয়েছে গবেষণায়।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, 'বিশ্বমঞ্চে আমাদের শিক্ষকরা স্থান করে নেওয়া অত্যন্ত গর্বের বিষয়। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা স্বত্বতেও শিক্ষকদের মেধা ও শ্রম দিয়ে তারা বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। এটি আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরা গবেষণায় আরও এগিয়ে যেতে চাই। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজ এগিয়ে নিতে অনুদান প্রদানসহ যাবতীয় সহযোগিতার কাজ চলমান আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

23h ago