সাম্য হত্যা: ৭ ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ ছাত্রদলের, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

ছাত্রদলের শাহবাগ মোড় অবরোধ। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে প্রায় ৭ ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্রদল।

তারা সাম্য হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, হত্যাকারীদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার, যথাযথ বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের দাবিতে অবরোধ করে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। বিকেল ৫টার পর তারা অবরোধ তুলে নেন। 

ছাত্রদলের শাহবাগ মোড় অবরোধ ও বৃষ্টির কারণে পুরো ঢাকা শহরজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। 

বিকেলে অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে যানজট স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

সাম্য হত্যার বিচারে ঢাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করে।

এছাড়া, এ ঘটনায় নতুন করে আটক সন্দেহভাজনদের পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য ঢাবি প্রশাসনের সমালোচনা করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।

তারা বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার সাম্য হত্যার ন্যায়বিচার না করলে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে বাধ্য হবেন।

অবরোধ কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, 'সাম্য ও পারভেজের হত্যার যথাযথ বিচার না হলে, ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী ঘরে বসে থাকবে না। আমরা যমুনা ঘেরাও করতে বাধ্য হব।'

'৫ আগস্টের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরও কেন এসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে? এর সঙ্গে কারা জড়িত,' প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিক্ষোভস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত সাম্য হত্যার বিচারের তদন্তে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের গত নয় মাসেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থারও কোনো অগ্রগতি হয়নি।'

'সাম্য হত্যার পরপরই যদি তারা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিত, তাহলে সেই রাতেই সন্দেহভাজন সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হতো,' বলেন তিনি।

নাসির বলেন, বিচারের ক্ষেত্রে সরকার যদি তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করে, তাহলে ছাত্রদলের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

 

Comments