১০০ কোটি অপচয়: জাবি প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

জাবিতে বিদ্যমান প্রশাসনিক ভবনের ২০০৮ সালের নকশা। নকশার বাম দিকের চিহ্নিত অংশটুকুর কাজ শেষ হয়েছে। নকশার বাকি অংশটুকু আর নির্মাণ করা হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে 'অপচয়' নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সিনেট অধিবেশন ২০২২ এ বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।'

এর আগে গত ১৩ জুন দ্য ডেইলি স্টারে 'জাবিতে উন্নয়নের 'অপচয়' শত কোটি টাকা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ' শিরোনামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত  হয়।

জাবির বিদ্যমান নতুন প্রশাসনিক ভবন। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। কিন্তু উন্নয়নের নামে এখানে প্রায় ১০০ কোটি টাকা অপচয় ও তথ্য গোপন করার গুরুতর অভিযোগ উঠছে। কোনো কেন্দ্রীয় মাস্টারপ্ল্যান না করে এই প্রকল্পে চলছে ভবন ভাঙা-গড়া।

বিদ্যমান নতুন প্রশাসনিক ভবনের নকশা দেখিয়ে অসম্পূর্ণ অংশটির ব্যাপারে তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসম্পূর্ণ অংশটি সম্পূর্ণ হলে বিদ্যমান ভবনটিতেই প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরগুলোও নিয়ে আসা সম্ভব এবং সেক্ষেত্রে নতুন প্রশাসনিক ভবনের প্রয়োজন হবে না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনরা মত দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তখন বলেন, 'নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরি করা হলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার অপচয় হবে। প্রশাসন চাইলেই খেয়াল খুশিমতো এটা করতে পারে না৷ যেখানে নতুন আরেকটি প্রশাসনিক ভবনের কোনো প্রয়োজনই নেই, সেখানে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবনের চেয়ে বিদ্যমান ভবনটি সম্পূর্ণ করলে এতো টাকার অপচয় হবে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন ভবন করতে চাওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।'

নতুন এই প্রশাসনিক ভবনের নকশা ২০০৮ সালে করা হলেও ডিপিপির কোথাও এটির উল্লেখ না থাকা তথ্য গোপনের সামিল বলেছেন শিক্ষাবিদ আনু মুহাম্মদ।

বিদ্যমান প্রশাসনিক ভবন অসম্পূর্ণ রেখেই নতুন আরেকটি ভবন নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বলেন, 'আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না কারণ এগুলো যখন হয়েছে তখন আমি এসবের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এখন আর আমার কিছু করার নেই।'

তথ্য গোপন করে ডিপিপি উপস্থাপনের ব্যাপারে জানতে চাইলেও একই কথা বলেন উপাচার্য।

সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে চেষ্টা করেও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

3h ago