আফগানিস্তানে মৃত বেড়ে ১১০০, কলেরার আশঙ্কা ও খাদ্য সংকট

আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে গিয়ান জেলায় ভূমিকম্পে ধসে পড়া বাড়িতে জীবিতদের খুঁজছেন স্বজনরা। ২৩ জুন ২০২২। ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে গত ২ দশকের মধ্যে ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোর কাছে কোনো খাবার নেই। সেখানে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

আজ শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কলেরা ছড়িয়ে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বেরমল জেলার আগা জান বিবিসিকে বলেন, 'সব কিছুই ধ্বংসস্তূপের নিচে। এমনকি, আমার শাবলটাও। এখন কিছুই করার নেই। ২ স্ত্রী ও ৩ ছেলে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা গেছেন।'

আগা জানের গ্রামের প্রায় সব বাড়ি মাটি ও পাথরে তৈরি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেরমল জেলাতেই অন্তত এক হাজার জন নিহত ও ৩ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ শ ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা এক হাজার ৬০০-র বেশি।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আহতদের এক হাজারের বেশির অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রতিদিনই আহতের সংখ্যা বাড়ছে। তারা ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন।

পাকতিকা প্রদেশের কর্মকর্তা ও বাসিন্দারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেই এলাকায় এক হাজারের বেশি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে দ্রুত মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।

নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় এক বাসিন্দা টোলো নিউজকে বলেন, 'জনদুর্ভোগ চরমে। লোকজন খোলা আকাশের নিচে দিন-রাত কাটাচ্ছেন। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে। আমরা ঠিক জানি না কতজন এমন অবস্থায় আছেন। তবে প্রতিটি বাড়িতে ২০ জনের মতো নিহত হয়েছেন।'

'তাঁবু নেই, খাবার নেই। আসলে সবকিছুই প্রয়োজন,' যোগ করেন তিনি।

পাকতিকা প্রদেশে গিয়ান, বেরমল ও জিরুক জেলার সবাই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে টোলো নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

14h ago