তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

ফাইল ফটো

পদ্মানদীতে তীব্র স্রোত, পদ্মাসেতুর পিলারের কাছে স্থাপন করা বয়া দূরে সরে যাওয়ায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাট সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতুর পিলারের কাছে তীব্র স্রোত আছে। স্রোতের গতিবেগ সাড়ে ৩ নটিকেল মাইলের বেশি থাকলে ফেরি চলাচলে শঙ্কা থাকে। বর্তমানে স্রোতের গতিবেগ সাড়ে ৩ নটিকেল মাইলের বেশি। পদ্মাসেতুর পিলারের কাছে বয়া স্থাপন কর দেওয়া হয়েছিল। তীব্র স্রোতের কারণে বয়াও দূরে সরে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি'র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মানদীতে তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। স্রোত স্বাভাবিক অবস্থানে না আসলে ফেরি চালু হবে না। তবে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে সীমিত পরিসরে ফেরি চলছে। বহরে থাকা ৮টি ফেরির মধ্যে ৫টি ফেরি বর্তমানে এ নৌরুটে চালু আছে। শিমুলিয়াঘাটে যানবাহনের চাপ নেই। ৫০-৬০ টি ব্যক্তিগত গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে।

বিআইডব্লিউটিসির শরিয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দিঘাট ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান, বাংলাবাজার ঘাটে যানবাহন নেই পারের অপেক্ষায়। সবাইকে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের এজিএম (মেরিন) আহম্মদ আলী জানান, তীব্র স্রোতের কারণে বয়া ভেসে গেছে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ। কখন শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌপথে ৮২টি লঞ্চ ও ১৪২টি স্পিডবোট চলাচল করছে। ঘাটে যাত্রী চাপ স্বাভাবিক আছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল ৩০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

From 2019 to 2025: How Ducsu election shows change

With this Ducsu poll being the first since the July uprising, I decided to witness history with my own eyes -- this time as a journalist and alumnus

23m ago