তেলের দাম তো ২০০ টাকা করে নাই, এখনো ২ টাকা কম: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দেশে সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, 'তেলের দাম তো ২০০ টাকা করে নাই, এখনো ২ টাকা কম।'

তিনি বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো কঠিন কিছু নয়, আগে দুর্নীতি কমান তাহলেই হবে। মেগা প্রজেক্ট না করে আগে জনগণকে বাঁচান। অনেকেই বলছে পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু করতে, আমার প্রশ্ন তারা কি শেখ হাসিনাকে ডুবাতে চায়?'

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ডাকে ভোজ্যতেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ সব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, তা না হলে আপনাদের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতো হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনি জনগণের কথা শুনুন, আমাদের নিয়ে বসেন।'

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, 'এই সরকার গত ১৩ বছরে দেশকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিয়ে গেছে, দেশ এখন আইসিইউতে।'

জনগণকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, 'আপনারা যদি খেয়াল করেন, দেখবেন সব জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। ৬২ শতাংশ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। তারা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি মানুষ যেখানে খেতে পারে না, সেখানে সরকার উন্নয়ন প্রচার করার জন্য জেলায় জেলায় এলইডি বোর্ড স্থাপন করছে। এই সরকার এতদিন ক্ষমতায় থাকায় পরও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে নাই।'

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না কমানো হলে পরবর্তীতে সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, 'আমরা চাই না বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হোক। তবে সরকারের এমপি মন্ত্রীদের উচিত শ্রীলঙ্কার এমপি মন্ত্রীদের মতো অবস্থা হওয়ার আগেই পদত্যাগ করুক।'

সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ উল্লেখ করে যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মুনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, 'বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বিভিন্ন সময় দেশের মানুষকে রূপকথার গল্প শুনিয়েছিল। ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে, ঘরে ঘরে চাকরি দিবে, গ্রামকে শহরে রূপান্তর করবে। কিন্তু এখন ১০ টাকা চালের বদলে ঘরে ঘরে হাহাকার ছাড়া কিছু দেয়নি। চাকরির বদলে ঘরে ঘরে দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।'

যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, 'বর্তমান সরকার সিন্ডিকেটের পাহারাদার হয়ে জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। সরকার যদি জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে না পারে, তবে সরকারকে বিদায় করতে জনগণ বাধ্য হবে। সিদ্ধান্ত সরকারের কাছে, তারা কী চায়।'

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মাহফুজুর রহমান, সোহরাব হাসান, সাদ্দাম হোসেন, হানিফ খান সজিব, যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ, সাইফুল্লাহ হায়দার, মশিউর রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus begins meeting political leaders to discuss pressing issues

Yunus is scheduled to hold another meeting with leaders of different Islamist parties after this

38m ago