ঠাকুরগাঁও

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ৩ মামলায় আসামি প্রায় ৮০০

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিশুর মৃত্যুসহ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে রানীশংকৈল থানায় এই ৩টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পুলিশকে আটকে রাখা এবং সুরাইয়া নামের আট মাস বয়সী শিশুকে 'হত্যার' অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০-৩৫০ জনকে আসামি করে প্রথম মামলা করেন ভাংবাড়ী ভিএফ জুনিয়র স্কুল ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. খতিবর রহমান (৫৮)।

তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় মামলাটির বাদী ওই ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ঠাকুরগাঁও থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক বিলাশ চন্দ্র রায়। তিনি নির্বাচন শেষে ইউএনও কার্যালয়ে স্থাপিত নির্বাচনী নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফেরার সময় পুলিশকে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ বিরুদ্ধে অভিযোগ মামলাটি করেন। তৃতীয় মামলাটি থানা ঘেরাও করার দায়ে রানীশংকৈল থানার সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. আহাদুল জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করেন।

এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশের ছোড়া বুলেটের আঘাতে রানীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী গুচ্ছ গ্রামের মোহাম্মদ বাদশার ৮ মাস বয়সী শিশকন্যা সুরাইয়া মারা যায় বলে পরিবার ও গ্রামবাসীরা অভিযোগ।

এ ঘটনার পর বিচারের দাবিতে ওই রাতেই কয়েকশ গ্রামবাসী রাণীশংকৈল থানার সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, তারা শুধু ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং শিশু হত্যার বিচার চান।

জানতে চাইলে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, 'নির্বাচনী সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন এমন কেউ অযথা হয়রানির শিকার হবেন না। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সংঘর্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

17h ago