চীনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ

গত ১৯ থেকে ২২ নভেম্বর ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে দিয়ানচি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ চায়না-সাউথ এশিয়া এক্সপোজিশন এবং ২৬তম চায়না কুনমিং আমদানি-রপ্তানি মেলায় থিম কান্ট্রি হিসেবে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে রপ্তানিপণ্যের পাশাপাশি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

'নব উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ১৯ থেকে ২২ নভেম্বর ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে দিয়ানচি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত এই মেলার যৌথ আয়োজক ছিল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইউনান প্রাদেশিক সরকার।

৪ দিনের এ মেলায় বাংলাদেশসহ ৮০টিরও বেশি দেশ, অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নেয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী এবারের মেলায় বাংলাদেশকে থিম কান্ট্রি নির্বাচিত করায় চীনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

স্পিকার বলেন, 'চায়না-সাউথ এশিয়া  বাণিজ্য মেলা এ অঞ্চলে করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি ও পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাড়াতেও সহায়ক হবে।'

মেলায় পণ্য প্রদর্শনী ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্য সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।

মেলায় চীন-দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা ফোরামের অধিবেশনে ভার্চুয়াল বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে রেলপথ, নদীর তলদেশে টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিদ্যুৎ অবকাঠামোসহ বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্প চালু হয়েছে, যা আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যকে আরও উন্নত করবে।'

বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'এটি আমাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।'

বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি চিমিং বলেন, 'এই সেপ্টেম্বর মাসে, চীন বাংলাদেশ থেকে ৯৮ শতাংশ করযোগ্য আইটেমকে শূন্য-শুল্ক দিয়েছে, যেন বাংলাদেশ চীনে তার রপ্তানি প্রসারিত করতে পারে।'

লি চিমিং আরও বলেন, 'এখন চীনারা বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের মতো সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে পারে।'

মেলায় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রকল্পের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউননান প্রদেশের ১২টি মূল শিল্পের সঙ্গে জড়িত মোট ১৬৯টি চুক্তিবদ্ধ বিনিয়োগ প্রকল্পে স্বাক্ষর করা হয়েছে, যার সম্মিলিত মূল্য ৪০০ বিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন  ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।

লেখক : চীন প্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Shibli Rubayat, Reaz Islam banned for life in market over scam

In 2022, asset management firm LR Global invested Tk 23.6 crore to acquire a 51 percent stake in Padma Printers, a delisted company, from six mutual funds it manages

1h ago