সিডনিতে শপিংমলে হামলা, নিহত ৬ আহত ৯

বন্ডাই শপিংমল। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যনগরী সিডনির বন্ডাই জংশনে ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে বেশ কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করেন একজন। ছুরিকাঘাতে কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন এবং আঘাতকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

আজ শনিবারের এ ঘটনায় মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাম্বুলেন্স জানিয়েছে, নয় মাস বয়সী এক শিশুসহ ছুরিকাঘাতে আহত মোট ৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশ জানিয়েছে, একজন অপরাধী একাই হামলা করেছে। 

রাজ্য পুলিশের সহকারী কমিশনার অ্যান্থনি কুক শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশ এখনো অপরাধীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, 'তার সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ পর্যায়ে জানি না যে তিনি কে ছিলেন।'

'তার কোনো উদ্দেশ্য বা কোনো মতাদর্শ ছিল কি না, তা চিহ্নিত করার জন্য ঘটনাস্থলে কোনো আলামত ছিল না। তবে পুলিশ সন্ত্রাসবাদকে অস্বীকার করছে না,' যোগ করেন পুলিশ কর্মকর্তা কুক।

পুলিশ জানায়, বিকেল ৩টার পর শপিং সেন্টারে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর বাইরে চলে যান এবং প্রায় ১০ মিনিট পর আবার ফেরত আসে এবং এরপরই ৯ জনকে ছুরিকাঘাত করেন।

এক নারী পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং অপরাধীর মুখোমুখি হন।

সহকারী কমিশনার বলেন, 'অপরাধী ওই অফিসারের দিকে ছুরি নিয়ে এগিয়েছিল। অফিসার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করেন।'

'এখানে পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় অনেক মানুষের জীবন বেঁচেছে,' বলেন তিনি।

ঘটনার সময় এসবিএস নিউজের উপস্থাপক রিকার্ডো গনসালভেস শপিং সেন্টারে ছিলেন।

গনসালভেস এসবিএস নিউজকে বলেন, 'আমি লোকজনকে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখেছি এবং তারপর আমি খুব কাছ থেকে গুলির শব্দ শুনি।'

এসবিএস অডিওর ইতালীয় প্রোগ্রামের ডমেনিকো জেন্টিলও সেই সময় শপিং সেন্টারে ছিলেন।

তিনি এসবিএস নিউজকে বলেন, 'আমি তিনটি গুলির শব্দ শুনেছি। আমার মনে হচ্ছিল আতঙ্কে দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরপর আমরা সবাই যে যেখানে পেরেছি আশ্রয় নিয়েছি, কারণ কোনো দিক-নির্দেশনা ছিল না। তখন সেখানে কোনো পুলিশ ছিল না। আমি একটি হ্যারিস ফার্মে গিয়েছিলাম।'

প্রত্যক্ষদর্শীরা মিডিয়াকে দোকানের কর্মীদের সাহসিকতার কথা জানিয়েছেন। অনেকে ক্রেতাদের দোকানের ভেতরে ঢুকিয়ে নিরাপত্তার জন্য দরজা বন্ধ করে দেয়।

এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লিখেছেন, 'আহতদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তাদের যারা সহযোগিতা করেছেন তারাসহ আমাদের সাহসী পুলিশ সদস্যদের এবং জরুরি সেবা কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

7h ago