চেভেনিং ও কমনওয়েলথের বাংলাদেশি স্কলারদের সংবর্ধনা

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য সরকারের কমনওয়েলথ ও চেভেনিং স্কলারশিপ পেয়ে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ব্রিটেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, তাদের সংবর্ধনা দিয়েছে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন।

শুক্রবার বিকেলে হাইকমিশনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হাইকমিশনের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমনওয়েলথ ও চেভেনিং স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ৪০ জন শিক্ষার্থীকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস, কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট, কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন প্রতিনিধি ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বলেন, কমনওয়েলথ ও চেভেনিং স্কলারদের এই অসাধারণ অর্জন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী করে তোলে। এই মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ অর্জনের মাধ্যমে আপনারা শুধু নিজেদের আলাদা করে তোলেননি, বরং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করেছেন

তিনি আরও বলেন, এই স্কলারশিপগুলো কেবল একাডেমিক সুযোগ নয়, এগুলো নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে একেকটি বিনিয়োগ।

ছবি: সংগৃহীত

এজন্য যুক্তরাজ্য সরকার, কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট, এফসিডিও ও স্কলারশিপ কমিশনের প্রতি তাদের অব্যাহত সহায়তা ও সহযোগিতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাইকমিশনার।

শিক্ষার্থীদের 'বাংলাদেশের দূত' হিসেবে উল্লেখ করে হাইকমিশনার আহবান জানান, তারা যাতে নিজেদের নতুন চিন্তাধারার তৈরি ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করেন।

'আপনারা যখন বিশ্বের খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়ন করবেন, তখন আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি—এই অভিজ্ঞতাকে পূর্ণভাবে কাজে লাগান,' বলেন আবিদা ইসলাম।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পুরো সময়জুড়ে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, এ ধরনের স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরালো হবে এবং উভয় দেশ পরস্পরের কাছ থেকে লাভবান হবে।

চেভেনিং সেক্রেটারিয়েট ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু চ্যাডউইক বলেন, স্কলারশিপের সংখ্যা আরও বাড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে। সবাই সেটাই চায়। কিন্তু ফান্ড সীমাবদ্ধতার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে প্রতিযোগিতাও বেশি। স্কলারশিপ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন ও কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করার চেষ্টা করা হবে।

কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ম্যাগি গনকাভস বলেন, কমনওয়েলথ স্কলারশিপের সঙ্গে অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশা করি এই স্কলারশিপের আওতায় যারা যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে এসেছে, তারা দেশে ফিরে গিয়ে সেটি কাজে লাগাবে এবং নিজেদের কমিউনিটিতে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP says ‘no’ to constitutional reforms under interim govt

The BNP has said it will not support any constitutional reforms before the national election in February 2026, arguing that such changes must be made by the next parliament.

4h ago