ব্যাংকগুলোয় বাড়ছে ডলারের মজুদ

ব্যাংকে ডলার মজুদ
রয়টার্স ফাইল ফটো

আমদানি কম এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয় বেশি হওয়ায় জুনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলারের মজুদ ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়নে পৌঁছেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে জানা গেছে।

গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংকগুলোয় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল ৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার।

২০২১-২২ সালের শেষে ৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় জুনে তা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। গত মের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে তা ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

জুলাইয়ের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় এবং আমদানি কমে যাওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলারের মজুদ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'ইতোমধ্যে বড় আকারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে।'

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি থেকে আয় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। রেমিট্যান্স ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে আমদানি ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। পুরো অর্থবছরের তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মনে করেন, যদিও ব্যাংকগুলোর হাতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আছে তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশে ডলার সংকট শেষ হয়ে গেছে।

'এখনো ডলারের ঘাটতি আছে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা এলসি খুলতে পারছি না,' যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

ক্রমাগত প্রচুর পরিমাণে আমদানি ব্যয় পরিশোধের কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাংলাদেশে মোট রিজার্ভ ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়ালের সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমেছে।

দেশের ডলারের মজুদের তথ্য যাতে সঠিকভাবে দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১২ জুলাই ম্যানুয়ালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রস ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (জিআইআর) প্রকাশ শুরু করে। ওই দিন ডলারের মজুদ ছিল ২৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। গত ১৯ জুলাই তা ২৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

জিআইআরের মধ্যে আছে স্বর্ণ, নগদ ডলার, বন্ড ও ট্রেজারি বিল, আইএমএফে রিজার্ভ পজিশন এবং স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস হোল্ডিংস (আইএমএফের এক ধরনের আন্তর্জাতিক মুদ্রা)।

Comments

The Daily Star  | English
FY2026 Budget,

How the FY2026 budget can make a difference amid challenges

The FY2026 budget must be more than a mere fiscal statement.

18h ago