পাঠাও পেল ১৪৪ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ, জোর দেবে ফিনটেকে

পাঠাও

কনজিউমার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান 'পাঠাও' ফিনটেক সেবাকে এগিয়ে নিতে ভেঞ্চারসুকের নেতৃত্বে ১৪৪ কোটি টাকার (১২ মিলিয়ন ডলার) তহবিল জোগাড় করেছে।

গতকাল শনিবার 'পাঠাও'র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এই বিনিয়োগের ফলে 'পাঠাও'র মোট তহবিল ৬০০ কোটি টাকার (৫০ মিলিয়ন ডলার) বেশি।

এই তহবিল সংগ্রহে নেতৃত্ব দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ভেঞ্চারসুক। এই প্রতিষ্ঠানটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় 'প্লাটফর্ম বিনিয়োগে' কাজ করে।

এ ছাড়াও, অ্যাঙ্কারলেস বাংলাদেশ, ওসাইরিস গ্রুপ, সাউথ এশিয়া টেক, ওপেনস্পেস ভেঞ্চারসসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এতে যোগ দিয়েছে।

গত দুই বছরে লাভজনক ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পর 'পাঠাও' এখন গ্রাহকদের ফিনটেক পরিষেবা সংযুক্তির মাধ্যমে আরও ভালো সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফাহিম আহমেদ বলেন, 'পাঠাও শুধু ব্র্যান্ড নয়, এটি লাইফস্টাইল। এটি শহরের পরিবহন, লজিস্টিকস ও গিগ ইকোনোমি বদলে দিয়েছে। আমাদের ফিনটেক উদ্যোগ দেশের আর্থিক দৃশ্যপটকেও নতুন করে গড়ে তুলবে।'

লজিস্টিকস, রাইড-শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারির পাশাপাশি 'পাঠাও' ফিনটেকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির আছে ডিজিটাল ওয়ালেট 'পাঠাও পে' ও বাকিতে কেনার সেবা 'পাঠাও পে লেটার'।

প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, 'পাঠাও'র মেশিন লার্নিং পদ্ধতির মাধ্যমে 'পে লেটার' লাভজনক হয়ে উঠেছে। নতুন তহবিল ফিনটেক সেবাগুলোকে আরও প্রসারিত, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বাজার বিস্তৃত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ফাহিম আহমেদ আরও বলেন, 'দেশের ডিজিটাল যুগের তরুণরা আমাদের প্রধান গ্রাহক। প্রচলিত ব্যাংকগুলো তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। অন্যান্য ডিজিটাল ওয়ালেটগুলো মূলত আনব্যানকড গ্রাহকদের দিকে লক্ষ্য রাখছে। আমরা তরুণ পেশাজীবী ও প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।'

'পাঠাও'র ফিনটেক সেবাগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ৫০ লাখের বেশি তরুণ পেশাজীবী ও পাঁচ লাখেরও বেশি প্রযুক্তিভিত্তিক ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সুবিধা দিতে সাজানো হয়েছে।

ভেঞ্চারসুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তামের কাদুমি জানান, তারা 'পাঠাও'কে বাংলাদেশের ফিনটেক সেবা খাতে 'সবচেয়ে শক্তিশালী' প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেন।

অ্যাঙ্কারলেস বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রাহাত আহমেদ বলেন, 'পাঠাও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দ্রুত বিকাশমান ডিজিটাল ব্যবস্থার এক অতুলনীয় অংশীদার।'

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে 'পাঠাও' এক কোটিরও বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে এবং দেশের গিগ অর্থনীতি ও ছোট ব্যবসায় পাঁচ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

8h ago