দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম বন্দরের ধর্মঘট, সিঅ্যান্ডএফ কর্মীদের কর্মবিরতি

চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা আরও তীব্রতর হয়েছে। সেখানে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট কর্মীরা আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন।
বন্দরে প্রবেশ ও লাইসেন্স ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে তাদের এই কর্মবিরতি।
এদিকে পরিবহন অপারেটরদের অব্যাহত ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনে গড়াল। টানা দুই দিন ধরে বন্দরে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যবসার প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যক্রম এই বন্দরের মাধ্যমে হয়। ধর্মঘট ও কর্মবিরতিতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ দুপুর ১২টায় বিভিন্ন পরিবহন মালিক, শ্রমিক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সমিতির নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক ডেকেছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। তারা আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের ছাড়পত্রের জন্য ডকুমেন্টেশনের কাজ করেন।তারা সাধারণত বন্দরে প্রবেশ করেন হালকা যানবাহন ব্যবহার করে।
বন্দরে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশার মতো হালকা যানবাহনের প্রবেশ ফি আগের ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৫ টাকা করা হয়েছে, যা প্রায় ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি।
চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সিঅ্যান্ডএফ কর্মীরা সাধারণত কম বেতন পান এবং দিনে তাদের কয়েকবার বন্দরে প্রবেশ করতে হয়।
তিনি বলেন, বাড়তি প্রবেশ ফির কারণে তাদের দৈনন্দিন ব্যয় বেড়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ১৫ অক্টোবর সব ধরনের যানবাহন ও ব্যক্তির জন্য প্রবেশ ফি বাড়িয়ে দেয়। সেইসঙ্গে সি অ্যান্ডএফ কর্মীদের জন্য লাইসেন্স ফিও বাড়ানো হয়।
Comments