ঋণ পরিশোধ নীতি আবারও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

bangladesh bank logo

ঋণ পরিশোধের নীতিমালা আবারও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রোববারের এ সিদ্ধান্তের পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুক্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে ঋণগ্রহিতাদের ওপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়েছে এবং তাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নোটিশের তথ্যমতে, ঋণগ্রহিতাদের যদি ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রদেয় কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করার সামর্থ্য থাকে, তাহলে তারা আর খেলাপি হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হবেন না। আগের নীতি অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ অর্থ প্রদান করলে এই সুবিধা পাওয়া যেত।

তবে, ঋণ পরিশোধের নীতিমালা আবারও শিথিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এই নীতির কারণে ব্যাংকিং খাতের তারল্যের ওপর আরও চাপ আসবে। কারণ ব্যাংকগুলো ঋণগ্রহিতাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থ ফেরত পাবে না।

ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে নতুন আমানত আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়ছে। এর পেছনে উচ্চ পর্যায়ের মূল্যস্ফীতির কারণে আমানতকারীদের অপেক্ষাকৃত কম সুবিধা পাওয়া ও বেশ কিছু ব্যাংকে ঋণ-সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির কারণে আস্থার অভাবই মূলত দায়ী।

নোটিশে বলা হয়েছে, যেসব ঋণগ্রহিতা ব্যাংক থেকে ১ বছরের চেয়ে বড় মেয়াদে ঋণ নিয়েছেন, তাদের জন্য এই শিথিল নীতি প্রযোজ্য হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। যার ফলে শিল্পখাতে উৎপাদন খরচও বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, 'এ কারণে ঋণগ্রহিতাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে'।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, এই শিথিল সুবিধা অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখবে এবং ঋণগ্রহিতাদের কিস্তি পরিশোধ করতে সহায়তা করবে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন: BB relaxes loan repayment policy again

 

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

5h ago