২০২১ সালের পর থেকে লোকসান দিয়েই যাচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক

গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত লোকসান কমাতে পারলেও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) এখনো লোকসান হচ্ছে।

গত ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের তিন মাসে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছে ২৯৮ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চার দশমিক ১৮ শতাংশ কম।

ব্যাংকটির অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুসারে, খেলাপি ঋণের কারণে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ব্যাংকটির মোট লোকসান ৭১ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৬৩ কোটি টাকা হয়েছে।

তবে এনবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত জুনে ব্যাংক অনিরীক্ষিত মাসিক মুনাফা করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই অর্জন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যাংকটি সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মাসিক মুনাফা করেছিল। তখন থেকে মাসের পর মাস ব্যাংকটি লোকসান করেছে।'

'এই মুনাফায় অবদান রাখার মূল কারণ খেলাপি ঋণ উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।'

গত ছয় মাসে ব্যাংকটি নগদ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খেলাপি আদায় করেছে।

'ব্যাংকের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

এ নিয়ে টানা চতুর্থ বছর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে রদবদল ঘটেছে। সিকদার পরিবার দৃশ্যত প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে৷

২০২২ সালে সর্বোচ্চ তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা লোকসানের পর ২০২৩ সালে লোকসান অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে এক হাজার ৪৯৭ কোটি টাকায় নামিয়ে আনে ব্যাংকটি।

গত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় ঋণের সুদ ও অগ্রিমের সুদের পরিমাণ নথিবন্ধ করা যায়নি বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

সে সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ৯৩ পয়সায় নামিয়ে আনতে পরলেও চলতি বছরের অর্ধবার্ষিক লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন টাকা ৩১ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল এক টাকা ৯৫ পয়সা।

একই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নেট পরিচালনবাবদ নগদ অর্থের প্রবাহ আরও কমেছে।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

2h ago