এস আলম মুক্ত হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এস আলম গ্রুপ, বাংলাদেশ ব্যাংক,

শরিয়াহভিত্তিক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এফএসআইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে, ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ হারাল ট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়, যে পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ চার আত্মীয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ডে ছিলেন।

কিন্তু, তাদের জায়গায় স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড গঠন করেছে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের পর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবদুল মান্নানকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। আবদুল মান্নান ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে 'বন্দুকের গুলির মুখে' পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

নতুন চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আজিজুর রহমান, উত্তরা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাগীব আহসান।

আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এস আলম গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকটি থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা।

তবে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে এক বছরের বেশি সময় ধরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চলতি হিসাব ঘাটতিতে আছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটির চলতি হিসাবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা।

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago