বেনাপোল ইমিগ্রেশন ‘দালালমুক্ত’

বেনাপোল কাস্টমস হাউজ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে দালালমুক্ত করা হয়েছে বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশন।

এ লক্ষ্যে জুলাইয়ের শুরু থেকেই বহিরাগতদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ফলে, পাসপোর্ট ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিন ও সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া, মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র আনসার ও আর্মড পুলিশ।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে গত ছয় মাসে ১১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছে এবং এসব যাত্রীদের কাছ থেকে বিদেশে ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১০ কোটি টাকা।

ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেবার মান বৃদ্ধি করায় বর্তমানে পাসপোর্ট যাত্রীরা দ্রুত ও সুশৃঙ্খলভাবে সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন নিজেরাই।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, দালালরা দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। সিরিয়াল ছাড়া দ্রুত কাজ করে দেওয়ার নাম করে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম জানান, টার্মিনাল এলাকায় কোনো দালাল যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। তাদের সেবার মান বাড়াতে ইমিগ্রেশনের ডেস্কের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন বলেন, 'বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এখন পুরোপুরি দালালমুক্ত। এটি বাস্তবায়নে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই যাত্রীরা ভারত যাতায়াত করছেন। সব ধরনের লাগেজ পার্টির তৎপরতাও বন্ধ করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s body being taken to Manik Mia Avenue for janaza

Janaza will be held at Manik Mia Avenue at 2pm

2h ago

Farewell

10h ago