ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে ছাড়

বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের বিপরীতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল, ডিসেম্বরের মধ্যে তার অন্তত অর্ধেক পরিশোধ করা হলে, গ্রাহককে খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি ক্ষুদ্র, বৃহৎ, মাঝারি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নগদ প্রবাহ কমে গেছে। এ অবস্থায় ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সূচি অনেকক্ষেত্রে মেনে চলা যাচ্ছে না। 

এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ সহজ করতে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে কেন্দ্রীয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সব মেয়াদি ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ হিসাব চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অশ্রেণিকৃত অবস্থায় ছিল, সে সব ঋণ হিসাবের ক্ষেত্রে অক্টোবর-ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য কিস্তির অন্তত অর্ধেক ডিসেম্বরের শেষ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা, গ্রহীতার হিসাবকে নতুন করে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

অপরিশোধিত কিস্তির বাকি অংশ ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ বছরের  মধ্যে সমকিস্তিতে শোধ করতে হবে। 

ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে, ঋণ শ্রেণীকরণে আগের নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

নতুন নিয়মে সুবিধা পাওয়া মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে বর্ধিত সময়ের জন্য কোনো সুদ বা অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago