এক অর্থবছরে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার ভ্যাট হারিয়েছে বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংক, ভ্যাট, মূল্য সংযোজন কর,

বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাবদ প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ।

বহুপাক্ষিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ওই বছর বাংলাদেশ যে পরিমাণ ভ্যাট বঞ্চিত হয়েছে, তা ওই বছরের আয়ের দ্বিগুণের বেশি, যার পরিমাণ ৮৫ হাজার কোটি টাকা।

গতকাল বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর বেশিরভাগই নীতিগত পছন্দের কারণে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, 'অর্থনৈতিক কাঠামো, উন্নয়নের স্তর এবং উন্মুক্ত বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে তার সম্ভাব্য রাজস্বের প্রায় অর্ধেক আদায় করছে। নীতিগত ঘাটতি ও আইন মেনে না চলার প্রবণতা বা কমপ্লায়েন্স ঘাটতি না থাকলে তিনগুণের বেশি ভ্যাট রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা আছে।'

এছাড়া অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমপ্লায়েন্স ঘাটতি তুলনামূলক বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের আনুমানিক কমপ্লায়েন্স ঘাটতি ৪২ শতাংশ, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ থেকে ১০ শতাংশ এবং কোস্টারিকার ২৮ থেকে ৩১ শতাংশ।

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নীতিগত ঘাটতি ২৫-৩২ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ৬৪ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশের নীতিগত ঘাটতি রাজস্বের ৪৯ শতাংশ বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যক্তিগত আয়কর বাবদ পূর্বাভাসের মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ এবং করপোরেট কর বাবদ পূর্বাভাসের ৬০ শতাংশের কম আয় করে।

'অন্যদিকে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে।'

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থপাচার, কর ফাঁকি ও অবৈধ পুঁজি প্রবাহের কারণে সরকার বড় অঙ্কের কর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত হলেও বেশিরভাগই অন্তত গত দশক ধরে চলে আসছে, কিন্তু এখনো সমাধান হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া করপোরেট কর কমপ্লায়েন্সের অবস্থা খুবই খারাপ। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ৫৬ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠানের টিআইএন নেই এবং ৫৫ শতাংশের বেশি টিআইএনধারী কোম্পানি করপোরেট কর দেয় না।

Comments

The Daily Star  | English

Voting in Ducsu election underway

Students started casting their votes at 8:00am across polling centres set up in residential halls amid tight security. The balloting will continue until 4:00pm.

2h ago