জন্মদিনে ছেলে নিবিড়ের জন্য দোয়া-ভালোবাসা চাইলেন কুমার বিশ্বজিৎ

কুমার বিশ্বজিৎ, নিবিড় কুমার,
ছেলে নিবিড় কুমারের সঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের জন্মদিন আজ। জন্মদিন ঘিরে প্রতিবছর থাকে অন্যরকম আনন্দ। কিন্তু, এবারের জন্মদিন কিছুটা বিষাদময়। কারণ, একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার প্রায় ৫ মাস ধরে কানাডার টরেন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অথচ, প্রতিবছর জন্মদিনে নিবিড় কুমার বাবাকে চমকে দিতেন। ছেলের জন্য কষ্টে দিন কাটছে তার। তাই এবারের জন্মদিনে একমাত্র ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া, ভালোবাসা ও প্রার্থনা চেয়েছেন তিনি।

১৯৬৩ সালের ১ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন কুমার বিশ্বজিৎ। ছেলেবেলা থেকেই গানের আগ্রহ ছিল তার। সেই আগ্রহকে স্বপ্ন ও সাধনা বানিয়ে সংগীত জগতে খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৭৭ সালে একটি রেডিও অনুষ্ঠানে প্রথম গান গাওয়ার মাধ্যমে তার সংগীত জীবন শুরু হয়। এরপর 'রিদম ৭৭' নামে একটি ব্যান্ডে ২ বছর গান করেন। ১৯৭৯ সালে 'ফিলিংস' ব্যান্ড গঠন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে কুমার বিশ্বজিৎ প্রথম গান করেছিলেন ১৯৮০ সালের দিকে। 'শিউলিমালা'  অনুষ্ঠানে ১৯৮২ সালে গাওয়া 'তোরে পুতুলের মতো করে' গানটির মাধ্যমে তার নাম মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এই গাটি ছিল তার সংগীত জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। 'যেখানে সীমান্ত তোমার' গানটিও দারুণ সাড়া ফেলে।

কুমার বিশ্বজিৎ প্রথম প্লেব্যাক করেন ১৯৮২ সালে, আলাউদ্দিন আলীর সুর ও সংগীতে 'ইন্সপেক্টর' সিনেমায়। কুমার বিশ্বজিৎ দুইবার শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ৩০টি একক অ্যালবাম, অসংখ্য মিশ্র অ্যালবাম ও সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন।

কুমার বিশ্বজিৎ দ্য ডেইলি স্টারকে একবার বলেছিলেন, 'বাংলা সংগীতকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করার আছে। আমি কখনো টাকার পিছে ছুটিনি। গান হিট করার পেছনে ছুটিনি। বরাবরই আমার চেষ্টা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শই ছিল আমার কাছে সবকিছু। কখনো গানকে ব্যবসায়িকভাবে দেখিনি। আমার যা কিছু অর্জন সব কিছুই সংগীত থেকে। আমার মনে হয়, সৃষ্টিশীল মানুষ যদি আরও দুইটা জীবন পেত তা হলে অনেক কিছু করতে পারত। এই কথাগুলো আজ বারবার শুধু মনে হচ্ছে।'

চিরসবুজ এই কণ্ঠশিল্পী আশির দশক থেকে এখনো গান করে যাচ্ছেন। তার গাওয়া অসংখ্য গান কোটি মানুষকে মুগ্ধ করেছে। এখানে তার শ্রোতাপ্রিয় ১০টি গানের কথা তুলে ধরা হলো- তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে, যেখানে সীমান্ত তোমার, তোরে পুতুলের মতো করে করে সাজিয়ে, ও ডাক্তার, একটা চাঁদ ছাড়া রাত, চন্দনা গো রাগ কর না, বহুদিন পর হয়েছি মুখোমুখি তোমার, কান্নার রোল উঠবে একদিন, তুমি যদি বলো পদ্মা মেঘনা, চতুর্দোলায় চড়ে দেখো।

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today amid a new wave of hope and expectations for what is being seen as a turning point for campus democracy after a six-year hiatus.

1h ago