প্রতি বছর ভালোবাসার টানে ছুটে যাই: অরুণা বিশ্বাস

অরুণা বিশ্বাস। ছবি:স্টার

অরুণা বিশ্বাস ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ে যুক্ত। অসংখ্য নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার জীবনের অনেকগুলো বছর কেটেছে ভারতেশ্বরী হোমসে।

সম্প্রতি সেখান থেকে ঘুরে এসে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দ্য ডেইলি স্টারের কাছে।

অরুণা বিশ্বাস বলেন, 'আমি পড়ালেখা করেছি ভারতেশ্বরী হোমসে। কেজি ওয়ান থেকে এসএসসি পর্যন্ত কেটেছে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসে। আমার জীবনের স্বর্ণালি দিনগুলো কাটিয়েছি সেখানে। আমার জীবনের সেরা ও মধুর দিনগুলোর কথা এখনও মনে পড়ে, চাইলেও ভুলতে পারব না।

জীবনে যা কিছু শিখেছি, যা কিছু সুন্দর, সত্য ও ভালো তা শিখেছি ওখান থেকে। সত্য বলা, সুন্দরের পূজারি, মানবিকতা, ভালো মানুষ হওয়া,সবকিছু ভারতেশ্বরী হোমসে শিখেছি। আমার ভালোবাসার এক নাম ভারতেশ্বরী হোমস। তাই তো ওখানে না গিয়ে থাকতে পারি না। কখনো শারদীয় পূজার সময়ে ছুটে যাই, কখনো বছরের অন্য সময়ে ছুটে যাই।

এবারও গিয়েছিলাম ২ দিন আগে। ওখানে গেলেই মনটা শান্তিতে ভরে যায়। ওখানে শান্তি ও সুখ লুকিয়ে আছে। না গিয়ে থাকতে পারি না। কী এক মায়ায় ছুটে যাই। ভালোবাসার টানে ছুটে যাই। প্রতি বছর ভালোবাসার টানে ছুটে যাই। একবার হলেও যাই।

এবার গিয়ে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সমবয়সী, ছোট ও সিনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সবার সঙ্গে সুন্দর সময় কাটিয়েছি। ওখানে গেলে কৈশোরে ফিরে যাই। মধুর সময়ে ফিরে যাই। এত ভালো লাগে, যা বলে শেষ করা যাবে না।

নাচ, গান, সব শিখেছি ওখানে। আমার সময়ে মির্জা হল ছিল। এখন নাম হয়েছে আনন্দ নিকেতন। ওখানেই বেশি স্মৃতি। ওটাকেই বেশি মিস করি। মির্জা হলের কথা ভুলতে পারব না, ভীষণ মিস করি। কত অনুষ্ঠান করেছি ওখানে। কত শত স্মৃতি জমে আছে।

সেই সময়ে আমি ক্যাপ্টেন ছিলাম। সবার ভালোবাসা ও আদর পেতাম। বছরে ছুটির দিনগুলোতে বাড়ি আসতে পারতাম। তাছাড়া বেশিরভাগ সময় থাকতাম ভারতেশ্বরী হোমসে। তাই তো আমার জীবনজুড়ে আছে ভারতেশ্বরী হোমস।

আমি মনে করি সুন্দরের সঙ্গে, শিল্পের সঙ্গে বসবাস করার জন্য ভারতেশ্বরী হোমস অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। তাই বুঝি না গিয়ে থাকতে পারি না। মায়ায় ও ভালোবাসায় ছুটে যাই। যেতে চাই আরও অনেকবার।'

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago