‘চক্কর ৩০২’ দিয়ে ৭ বছর পর সিনেমায় ফিরলেন মৌসুমী নাগ

মৌসুমী নাগ। ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশন নাটকের প্রিয়মুখ মৌসুমী নাগ। অনেক দিন ধরে অভিনয় করছেন তিনি। মাঝে বিরতি দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মাত্র তিনটি সিনেমা করেছেন। রানআউট ও প্রার্থনা মুক্তির সাত বছর পর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা 'চক্কর ৩০২'।

শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন মৌসুমী নাগ।

তিনি বলেন, 'চক্কর ৩০২' সিনেমায় হুট করেই অভিনয় করা। এটি দিয়ে সাত বছর পর সিনেমায় ফেরা হলো। মাঝে পুত্র সন্তানের মা হওয়ায় শুটিং করিনি অনেক দিন। সন্তানকে সময় দিয়েছি। ওটাই বড় কাজ মনে করেছি।

'সন্তান একটু বড় হওয়ার পর টুকটাক কাজ করেছি। তবে খুব বেশি নয়। তারপর 'চক্কর ৩০২' সিনেমার প্রস্তাব পেলাম অনেক বছর পর।'

'চক্কর ৩০২' সিনেমায় রাজি হওয়ার মূল কারণ কী, জানতে চাইলে মৌসুমী নাগ বলেন, প্রথম কারণ হচ্ছে পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবন ভাই। তিনি একজন ভালো অভিনেতাও বটে। দারুণ অভিনয় করেন। আবার পরিচালক হিসেবেও ভীষণ মেধাবী। সেজন্য জীবন ভাই প্রস্তাব দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিই কাজটি করা যায়।

'পাশাপাশি এই সিনেমায় অনেক পছন্দের শিল্পীরা আছেন। তারিন আপু, সুমন আনোয়ার ভাই থেকে শুরু করে অনেকে। তাদের সঙ্গে আমার সুন্দর একটি সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তো একটি পরিবারের মতো। এই বিষয়টিও কাজ করেছে', বলেন তিনি।

মোশাররফ করিম চক্কর সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা। এই বিষয়ে মৌসুমী নাগ বলেন, 'দেখুন, চক্কর সিনেমায় অভিনয় করার আরও একটি বড় কারণ এখানে মোশাররফ করিম আছেন। মোশাররফ করিম থাকা মানেই ম্যাজিক কাজ করেছে। তার অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি একটা ম্যাজিক।'

নিজের অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে এই অভিনেত্রী বলেন, আমার অভিনীত চরিত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্র নিয়ে পুরোটা বলব না। কারণ তাহলে চমক থাকবে না। দর্শকরা হলে গিয়েই দেখবেন। এটুকু বলব, আমার চরিত্রে অনেক কিছু দেখতে পারবেন দর্শকরা।

ইতোমধ্যে হলে গিয়ে নিজের অভিনীত সিনেমা দেখেছেন মৌসুমী নাগ। তিনি বলেন, ঈদের দিন শ্বশুরবাড়ি ছিলাম ফরিদপুরে। সেজন্য ঈদের দিন দেখতে পারিনি। দুদিন আগে দেখেছি। সেদিন হাউসফুল ছিল। খুব ভালো লেগেছে। দর্শকদের কাছ থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিনেমা দেখে বের হওয়ার পর দর্শকরা খুব করে বলেছেন চক্কর সিনেমার পার্ট টু দেখতে চাই। আবার কেউ কেউ বলেছেন গল্পটা সুন্দর, টাকা নষ্ট হয়নি। দর্শকদের মতামত খুব ভালো লেগেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago