নাটক ইন্ডাস্ট্রির সংকট ও উত্তরণ নিয়ে একঝাঁক তারকার আড্ডা

দেশের নাটক ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সংকট ও উত্তরণ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হন একঝাঁক জনপ্রিয় তারকা ও নির্মাতা। আলোচনা হয় গল্পের বৈচিত্র্য, প্রযোজনা ব্যয়, দর্শক হারানো এবং ইউটিউবের প্রভাব নিয়ে।
দ্য ডেইলি স্টার বাংলা আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা আফজাল হোসেন ও গুণী অভিনেতা তারিক আনাম খান। আরও ছিলেন আজিজুল হাকিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, মাসুম রেজা, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আজাদ আবুল কালাম, আহসান হাবিব নাসিম, রাশেদ মামুন অপু, দীপা খন্দকার, তনিমা হামিদ, জাহিদ হোসেন শোভন ও অরণ্য আনোয়ার। সঞ্চালনা করেন শাহ আলম সাজু।
নাটক ইন্ডাস্ট্রির সংকটটা কী? আর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী? আসুন, সবাই খোলামেলা কথা বলি...
আফজাল হোসেন: ইন্ডাস্ট্রি বলতে যা বোঝায়, সেই ইন্ডাস্ট্রির কতজন আছেন এখানে? দু-চারজন। আমি তো নেই-ই। ইন্ডাস্ট্রি কী তা প্রথমে জানতে হবে, বুঝতে হবে ভালো করে। ভালো একটা ইন্ডাস্ট্রি ছিল, কিছুটা জানতাম, দেখেছি। কাজেই আমি শুনতে চাই।

তারিক আনাম খান: মূল্যবোধটা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, পীড়া দেয়। অনেকে এখানে আছেন যাদের জন্ম মঞ্চ, থিয়েটার ও টেলিভিশনে। তখন রুচিশীল মধ্যবিত্ত সেই টেলিভিশন নিজস্ব দর্শক তৈরি করেছিল। একসময় রোববার নাটক হতো। প্রচুর দর্শক দেখতেন। ডিআইটিতে শুরুটা হয়েছিল। মুস্তাফা মনোয়ার শুরু করেছিলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রি কি কোনোদিন ছিল? তার সংজ্ঞা কী?
বাংলাদেশ টেলিভিশনে আমি ও আফজাল হোসেন নাটক করেছি। তখন নাটকের পাশাপাশি ভিন্ন পেশা ছিল। আমরা দুজনে অভিনয় ছাড়াও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছি। ওই পথ বেছে নিয়েছি।

নাটক মানে আমাদের কাছে প্রতিবাদের বিষয়। সমাজের অসংগতির বিরুদ্ধে নাটক। নাটকের শুরু প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে। ইন্ডাস্ট্রি বলতে গেলে ভিশন লাগে। রাজনৈতিক মোটিভেশন দরকার। বিজ্ঞাপনের ভারে চ্যানেলে নাটক দেখা যায় না। আমরা পেশা হিসেবে যখন নিয়েছি অভিনয়কে, তখনই কাজ করতে হয়েছে। একসময় ঈদের সময়ে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ভোর থেকে লাইন দিতে হয়েছে। সেটা এখন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?
কেবল কমছেই। সংকট কিন্তু এক দিনে শুরু হয়নি। এরপর এল ভিউ। তারপর ইউটিউব। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে টিভি চ্যানেলগুলোর। বিটিভিতে একসময় সাহসী কাজ হতো। এখন বলা যাবে না, কারা যাবে না, সেলফ সেন্সরশিপ আছে।
নাটক অবশ্যই বিনোদন। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কাজ করে। সমাজের কথা বলে। মঞ্চ নাটক তো প্রতিবাদের ভাষা থেকেই এসেছে। আলোচনা যারা টেলিভিশন চ্যানেল চালান তাদের নিয়ে হতে হবে।
সালাহউদ্দিন লাভলু: মিডিয়ার কী অবস্থা তা জানতে হবে। এখন শুধু ভিউ আর ভিউ। আর কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। ব্যবসা আর ব্যবসা। যিনি মালিক তিনি বড় ব্যবসায়ী। টিভি চ্যানেলকে তারা হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছেন। প্রতিভা নয় বাণিজ্যটা বেশি বোঝেন তারা। শিল্প এখানে কম।

বিটিভির পর যখন প্যাকেজ এল, এরপর একুশে টিভি এল, সেই সময় আমরা একঝাঁক তরুণ নাটক পরিচালনায় আসি। সেই সময় আমরা আমাদের কথা বলতে পেরেছি। একটা সময় তো কিছু কিছু চ্যানেল পারিবারিক চ্যানেল হয়ে গেল। ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হলো যখন ইউটিউব এল, এটা পরিষ্কার। প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কোন ধরনের কনটেন্ট দর্শকরা দেখছেন? কোন শ্রেণির দর্শকরা দেখছেন? শুধু মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ। এখানে অনেকের রুটি-রুজি আছে। বড় সমস্যা হচ্ছে, আগে এখানে শৃঙ্খলা ছিল, এখন নেই। সেটা এখন জিরো।
একজন অভিনেতার কত পারিশ্রমিক হতে পারে? আমরা একসময় দেখতাম ৫-৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিক। বহু পরে সেটা ৫০ হাজার হলো। বাড়তে বাড়তে কেউ কেউ এক লাখ টাকা নেন। এখন কেউ কেউ তিন লাখ টাকা একদিনে নিচ্ছেন। তাহলে তার মাসে উপার্জন কত? সেই নাটকের নাট্যকার আছেন, পরিচালক আছেন, ক্যামেরাম্যান আছেন, আরও অনেকে আছেন। তারা কত পাচ্ছেন? একসময় ফেডারেশনের বড় ভূমিকা ছিল। ইন্ডাস্ট্রির কী হাল, তা বোঝাই যাচ্ছে। টেলিভিশন নাটক তখনই শেষ হলো যখন সবাই টাকার পেছনে দৌড়ালো। আমরা স্বার্থপরের মতোই চলছি। নিজে ভালো আছি তো বেশ! অন্যদের কথা ভাবছি না।

মাসুম রেজা: আফজাল হোসেন ভাই বলেছেন ইন্ডাস্ট্রি ছিল কি না? আমি নিজেদেরকে মিডিয়াকর্মী বলি। সারা বিশ্বে মিডিয়া বলে। আমরা এখনো নিজস্ব পরিচয় ঠিক করতে পারিনি, আমরা কারা? ভেতরে ভেতরে কীভাবে শূন্য হয়ে যেতে হয় তা দেখছি। এখানে ডিরেক্টরস গিল্ডের কেউ নেই। নাট্যকার সংঘের কেউ নেই। থাকলে ভালো হতো। তবে, কয়েকটি সংগঠনের অনেকেই আছেন। সবখানেই একটা নীতিমালা দরকার হয়।

হলিউডে একটা আন্দোলন হয়েছিল, সেটা সফল হয়েছে। সেখানে যারা চিত্রনাট্য তৈরি করেন তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরাই কিন্তু আন্দোলন করে অনেক কিছু আদায় করেছি। বিদেশি সিরিজ চালানোর জন্য আমরা আন্দোলন করে একটা অবস্থায় গিয়েছিলাম। কেবল একত্রিত হয়ে আমরা শক্তিটা পেয়েছি। কারও কারও বাসায় টাকা নিয়ে লাইন ধরে। কেউ কেউ আবার ১০ হাজার টাকা ধার করে চলে। এটা তো বিশৃঙ্খলা।
এখানে সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি সংগঠনকে যুক্ত করতে হবে। তা না হলে হবে না। ইন্ডাস্ট্রি যখন বলবেন তখন প্রেশার গ্রুপ থাকতেই হবে। সারা বিশ্বে এটা আছে। নানা ধরনের সংকট থাকবে। তা সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। আমাকে ডাকা না হলে ধরে নেওয়া হয় অযোগ্যতা। আসলে তা নয়, অন্য কারণে হয়তো আমাকে ডাকেনি।
আফজাল হোসেন: যদি আমরা নিজের পায়ে কুড়াল মারার কাজ করি, তাহলে আর উপায় কী? সবার কথা শুনি। শেষে হয়তো কথাটা একটাই হবে—আমরা ভালো নেই।
অরণ্য আনোয়ার: 'গহরগাছি' আমার পছন্দের নাটক, কিন্তু 'ভবের হাট' না। তাতে কারও কিছু আসে যায় না। জনপ্রিয়তাকে মানতেই হবে। আমরা যে কাজটি করি, তা কিন্তু দর্শকদের জন্যই করি। যা জনপ্রিয়তা তা স্বীকার করে নিতেই হবে। সম্মানীর কথা এসেছে। কেউ ৩ লাখ নেয়। যিনি নিচ্ছেন আমি তাকে স্যালুট করি। এটা তার যোগ্যতা, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে অবস্থান গড়তে পেরেছেন।

আমি সাত বছর নাটক করেনি। কেউ ডাকেনি। মাঝে সিনেমা করেছি। এখন কাজ করছি। এগুলো বাস্তবতা। সংকটের কথা বলা হচ্ছে। আমরা কী টিভি চ্যানেলের মালিকদের নিয়ে দিনের পর দিন মিটিং করিনি? বহু করেছি। কোনো লাভ হয়নি।
আমরা তো 'রঙের মানুষ' দেখছি। আমরা 'কোথাও কেউ নেই' দেখেছি। একটা সময় এসে সেইরকম নাটক দিতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।
আজিজুল হাকিম: আমার মনে হচ্ছে, আমরা খুব গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। যাই হোক, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ডেইলি স্টারের এই আয়োজনে অনেকদিন পর আমরা একত্রিত হতে পেরেছি। এ জন্য ডেইলি স্টারকে ধন্যবাদ। অনেক হতাশার কথা আসছে। দেখুন, আমরা যখন থিয়েটার শুরু করি, তখন টিভি নাটকের কথা ভাবনায় ছিল না। টিভি নাটকের কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। সেই সময় আমরা কাজ শুরু করেছি, একটা দায়বদ্ধতা ছিল। সামাজিক কমিটমেন্ট ছিল। সবার মধ্যে দায় ছিল। কেন ইন্ডাস্ট্রি এমন হলো এটা প্রশ্ন থেকেই যায়।

অরণ্য আনোয়ার কিছু ক্ষোভের কথা বলেছেন। আমাদেরও আগে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা ছিল। সেটি অবশ্য ভালো কাজের প্রতিযোগিতা। সুস্থ ও সুন্দর প্রতিযোগিতা। একটি টিভি চ্যানেল থেকে যখন একাধিক চ্যানেল হলো, তখন কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত হলো। টিভি চ্যানেলের প্রাইম অনুষ্ঠান কিন্তু নাটক। আমি মনে করি, কমিটমেন্টের জায়গাটা ধরে রাখতে পারিনি আমরা। নাটককে একসময় বাণিজ্যিকীকরণ করে ফেলি। যারা নাটকে বিনিয়োগ করলেন তারা সুরক্ষা চাইলেন। আমরা অর্থের পেছনে ছুটলাম। এরপর আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে পরাজিত হয়েছি।
এখনো 'সাকিন সারিসুরি', 'নক্ষত্রের রাত', 'কোথাও কেউ নেই' নাটকের কথা দর্শকরা বলেন। তারা খুঁজে খুঁজে নাটকগুলো দেখেন। কমিটমেন্টের জায়গাটা যদি দৃঢ় করতে পারি তাহলেই সব ঠিক হবে। সংকটের জায়গাটা যদি চিহ্নিত করতে পারি তাহলেই সমাধান বের করতে পারবো।
জাহিদ হোসেন শোভন: শিল্পকে বাণিজ্য করতেই হবে। না হলে হবে না। একটা কথা বলি, এটা কী এখন মেধাবীদের হাতে আছে? আমরা থিয়েটার চর্চার মধ্যে দিয়ে এসেছি। কতজন সেই চর্চা করে এসেছেন? অনেক নাটকের সংখ্যা বেড়েছে। সেভাবে মেধাবী মানুষ বাড়েনি। মেধাবী মানুষ না থাকায় কম মেধাবীরা এসেছেন।

এরপর 'টিআরপি' নামক একটি বিষয় ধরিয়ে দেওয়া হলো। কার কার টিআরপি বেশি তাকে ধরতে হবে। এখন এসেছে ভিউ। সেজন্য, এখন কেউ মেধাবী মানুষদের খুঁজে না। ভিউ খোঁজে। কিন্তু, মেধাবীদেরও দরকার। তাদের আরও আগ্রহী করতে হবে। তাহলে আশার আলো দেখা যাবে, সংকট কমবে।
আজাদ আবুল কালাম: উত্তরণের উপায় জানি না। এর জন্য দায়ী আমরাই। সমস্যাটা নিজেদের মধ্যে। আয়না দেখি। পরিষ্কার করি না। পরিষ্কার করা দরকার। আমরা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি না। সেটি দরকার। কেউ কেউ সম্মানী বেশি নিচ্ছেন, নিতেই পারেন। মনে হচ্ছে সম্মানী বেশি নিয়ে তিনি দুর্নীতি করছেন। তা না, এখানে সব সংগঠনের প্রতিনিধি থাকলে ভালো হতো। নিজেদের দিকে একবার তাকান। আমরা কতটা সংগঠিত হতে পারব?

আফজাল হোসেন: এখানে সবার সঙ্গে দেখা হলো, এটাও কম না। পারস্পরিক বোঝাপড়া দরকার। সম্মান দরকার। আমরা শুরুতে নিজেদের মঞ্চ শ্রমিক মনে করতাম। আমাদের দলনেতা বলে দিয়েছিলেন, যিনি মিলনায়তন ঝাড়ু দেন, তিনি যেমন উঁচু স্তরের মানুষ, তুমি অভিনয় করো তুমিও একই মাপের মানুষ। এই বোধটা থাকা দরকার। একসময় শিল্পীর শক্তিটা অনেক বড় ছিল, তা যেন ভুলে না যাই। ইন্ডাস্ট্রি দৃশ্যত পরিবর্তন হয়েছে। এতে ভেতরের ক্ষতি হয়েছ।
আহসান হাবিব নাসিম: দেখুন, যারা কাজ করতে পারছেন না, তারা একরকম সংকটে আছেন। আবার যারা বড় তারকা, ডেট দিতে পারছেন না, তারাও একরকম সংকটে আছেন। কথায় আছে- যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ।

টেলিভিশন নাটকের শুরুর দিকে আফজাল হোসেন ভাই নাটক করেছেন। কয়েক জেনারেশনকে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন। তারও আগেও ছিলেন কেউ কেউ। তখন যারা অভিনয় করেছেন ভালো করেছেন। মূল কথা হচ্ছে, এই পেশাটা সমাজের কোন জায়গায় থাকবে। অনেক আগে যারা নাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন, তারা সমাজের চোখে ছিলেন দার্শনিকের মতো। স্বাধীনতা উত্তরকালে অভিনয় শিল্প সমাজের ওপর বড় প্রভাব পড়ে। আবার প্যাকেজ আসার পর অনেকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন অভিনয়। পেশার রক্ষা কীভাবে করা যেতে পারে তা নিয়ে কথা বলা বলা যেতে পারে। আজকে এখানে চমৎকার আলোচনা হচ্ছে। এটার ফলোআপ দরকার। কয়েক মাস পর আবারো বসা দরকার। তাহলেই সংকটগুলো বের হয়ে আসবে, সংকট থেকে সমাধানের পথও বের হয়ে আসবে।
ওয়াহিদা মল্লিক জলি: প্রথমেই ধন্যবাদ ডেইলি স্টারকে এত সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য। আমরা অভিনয়ের মানুষ। অভিনয় আমাদের নেশা, পেশা ও ভালোবাসা। সংকট কোথায় নেই। সবখানেই কম-বেশি সংকট আছে। সংকট থাকলে সমাধানের পথও আছে। নাটক যে মাধ্যমেই প্রচার হোক না কেন, দর্শক দেখছেন।

ইউটিউবে হয়তো বেশি দেখছেন। আমাদের অনেক ভালো ভালো কাজের উদাহরণ আছে। নাটকের সুন্দর স্বর্ণালী সময় ছিল। এখনো দর্শকরা নাটক দেখছেন।
দীপা খন্দকার: ডেইলি স্টারকে ধন্যবাদ দিতেই হচ্ছে, এ রকম ভালো একটি আয়োজন করার জন্য। অনেক আলোচনা হলো। সিনিয়রদের পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এতগুলো মানুষ অনেকদিন একত্রিত হইনি, এটা বড় বিষয়। এর কৃতিত্ব ডেইলি স্টারের।

আমি মনে করি, কাজ করতে গেলেই তো সমস্যা দেখা দেয়, আর কাজ করতে করতেই সমস্যাগুলোর সমাধানও করা যায়। কয়েক যুগ ধরে টিভি নাটক নির্মিত হয়ে আসছে। আমাদের একজন আফজাল হোসেন আছেন। এটা কী কম কথা? একজন তারিক আনাম খান আছেন? অনেক মানুষ আছেন। কাজ করতে করতেই ওনারা এতদূর এসেছেন। আমার কথা হচ্ছে সংকট যেমন আছে, সমাধানও আছে। শুধু সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে তো হবে না? কাজ করতে হবে।
রাশেদ মামুন অপু: এখানে অনেক গুণী শিল্পী আছেন, গুণী মানুষ আছেন। আমি অনেক ছোট। আমরা কাজ করতে চাই। অনেক স্বর্ণালী অতীত আমাদের আছে। আমরা একটা ভালো জায়গায় সবাই মিলে যেতে চাই।

তনিমা হামিদ: সবাই মন খারাপ করে কথা বললেন। আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে হাসলাম। আমার কিন্তু ভালো লাগছে। সবার সঙ্গে কতদিন পর দেখা হলো। এখানে শ্রদ্ধেয় আফজাল হোসেন এসেছেন। তাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আমি এত বছর কাজ করেছি অথচ উনার সঙ্গে কখনো কাজ হয়নি। সংকট নিয়ে বলব না। আশা নিয়ে বলব। আমি আশাবাদী মানুষ। আশা থাকলে সব হয়। তবে, আশা করার আগে কাজ করতে হবে। কাজ করলেই সবকিছু ভালো হবে।

Comments