অভিনয় থেকে বিরতি নিচ্ছেন উর্মিলা

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারের মাধ্যমে শোবিজে পথচলা শুরু হয় উর্মিলা শ্রাবন্তী করের। তারপর প্রায় ১২ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার তার। কিন্তু, হঠাৎ করেই শোবিজ থেকে বিরতির সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথোপকথনে সে কথায় জানালেন তিনি।

১২ বছরের ক্যারিয়ারে আপনার উপলব্ধি?

দেখতে দেখতে আমার ক্যারিয়ারের ১২ বছর হয়ে গেল। এক যুগ কাটিয়ে দিলাম এখানে। অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। শোবিজের থেকে শুরু করে দর্শক- সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসেন। শিল্পীজীবনে এটাই বড় অর্জন। শিল্পী পরিচয়টা ভালো লাগে। তারপরও এত বছর পর এসে মনে হচ্ছে অভিনয়ে বিরতি দরকার। অভিনয় ছাড়ছি না, বিরতিতে যাচ্ছি।

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। ছবি: উর্মিলার ফেসবুক থেকে নেওয়া

হঠাৎ বিরতিতে যাওয়ার কারণ কী?

অনেক তো অভিনয় করলাম। কিন্তু, ঘুরেফিরে একইরকম চরিত্র, একইরকম গল্প আসছে। ভিন্নতা চাই। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক করলাম। কারও নাম ধরতে চাই না। সবাইকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, গত কয়েক মাস ধরে একইরকম চরিত্র করছি। এজন্য মন সায় দিচ্ছে না। তাই বিরতির সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। একটু গ্যাপ দরকার। তা ছাড়া নিজেকে সময় দিতে চাই। এসব কারণেই বিরতিতে যাচ্ছি।

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। ছবি: উর্মিলার ফেসবুক থেকে নেওয়া

অভিনয় শিল্পী সংঘের ২ বারের নির্বাচিত নেতা আপনি, শিল্পীদের জন্য কতটা সহায়ক ভূমিকা পালন করছে সংগঠনটি?

সবাই জানেন- শিল্পীদের পাশেই আছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। অনেক ভালো ভালো কাজ আমরা করেছি এবং আগামী দিনেও করব। বিশেষ করে করোনাকালে সবাই দেখেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘ শিল্পীদের জন্য কতটা কাজ করেছে। আমরা সবসময় শিল্পীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়ে যাচ্ছে...

হ্যাঁ। পূজা অনেক আনন্দের, কিন্তু আমার জন্য অনেক কষ্টের। একসময় শারদীয় দুর্গাপূজা জন্যও আনন্দের ছিল। কিন্তু, কয়েকবছর আগে এই পূজার সময়ে বাবাকে হারিয়েছে। তাই পূজা এলে বাবাকে মনে পড়ে। বাবাকে মিস করি। মনে পড়ে, বাবা শেষ পূজায় আমাকে টাঙ্গাইলের পাতরাইলে নিয়ে গিয়েছিলেন। ২২টি শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। কত স্মৃতিকে বাবাকে নিয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Army chief reaffirms Bangladesh’s commitment to UN peacekeeping

"As Bangladesh's senior-most peacekeeper, I feel proud and honoured to be here today"

24m ago