‘১৮ বছর পরও সিনেমাটি টিকে আছে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ’

তৌকীর আহমেদ। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

প্রায় ১৮ বছর আগে জয়যাত্রা সিনেমা নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা তৌকীর আহমেদ। এত বছর পরও এই সিনেমার আবেদন কমেনি। 

বিশেষ করে বিজয়ের মাস এলে জয়যাত্রা সিনেমার আবেদন আরও বেড়ে যায়। এ সিনেমা এবং বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তৌকীর আহমেদ সম্প্রতি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা জয়যাত্রার বয়স ১৮ বছর। এখনো এর আবেদন রয়ে গেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

অবশ্যই এটা ভালো লাগার বিষয়। একজন পরিচালক হিসেবে, একজন শিল্পের মানুষ হিসেবে আনন্দ দেয়। জয়যাত্রা নির্মাণ করা অনেক কঠিন কাজ ছিল। এত বছর পরও দর্শকরা সিনেমাটি দেখছেন, ভুলে যাননি এবং জয়যাত্রা দেখার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে জানতে পারছেন।

১৮ বছর পরও সিনেমাটি টিকে আছে, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি খুব ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।

আপনি বলেন জয়যাত্রা আপনার জন্য যুদ্ধ?

বলার কারণ আছে। ১৯৭১ সালে আমি ছোট ছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল ৫ বছর। কিন্তু পরে ভেবেছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যদি তরুণ থাকতাম কিংবা বড় থাকতাম তাহলে আমি কী করতাম? আমি কি যুদ্ধে যেতাম? অবশ্যই যুদ্ধে যেতাম।

এরপর যখন সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করি, প্রথমেই বেছে নিই মুক্তিযুদ্ধকে। জয়যাত্রা সিনেমা আমার কাছে একাত্তরে ফিরে যাওয়ার মতো। সেজন্য জয়যাত্রা আমার কাছে একটা যুদ্ধ।

তাছাড়া আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একাত্তর। যে  জন্য আমরা দেশ পেয়েছি। এই ভাবনা থেকে জয়যাত্রা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই।

জয়যাত্রা, ফাগুণ হাওয়া, এই সিনেমাগুলোর মূল বক্তব্য কি?

জয়যাত্রা পুরোপুরি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। এই সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধের কথা গভীরভাবে উঠে এসেছে। অন্যদিকে ফাগুণ হাওয়া ভাষা আন্দোলনের সিনেমা। আবার স্ফুলিঙ্গ নির্মাণ করেছি, এটিও মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা, একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ধরণের সিনেমা বানানো মানে ইতিহাসের সঙ্গে থাকা।

সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। শুটিংয়ে কতটা ব্যস্ত?

গৌতম কৈরীর পরিচালনায় একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছি দেশে ফেরার পর। আবুল হায়াতের পরিচালনায় একটি নাটক করেছি। এখন একটি নাটক করছি অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায়। নাটকের নাম ২৬ নম্বর বাড়ি। এটি ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প থেকে নেওয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago