একুশে পদক প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জীবদ্দশায় পাচ্ছি এটাই আনন্দের

জীবদ্দশায় পাচ্ছি এটাই আনন্দের
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: স্টার

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় একজন পরিপূর্ণ শিল্পী। কীর্তনখোলা, নদীর নাম মধুমতি, মাটির ময়না, আঁধিয়ার, জয়যাত্রা, ঘেটুপুত্র কমলা, নিরন্তর, দূরত্ব, আমার আছে জল, সুতপার ঠিকানা, মেঘমল্লার- এরকম অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা ও প্রশংসা। প্রচুর নাটকেও অভিনয় করেছেন। নাটক ও সিনেমার গুণী অভিনেতা তিনি।

অভিনয় ছাড়াও তিনি একজন আবৃত্তিশিল্পী। এবার আবৃত্তিতে একুশে পদক পাচ্ছেন খ্যাতিমান এই শিল্পী। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

এবার একুশে পদক পাচ্ছেন, কেমন লাগছে?

ভালো লাগছে। অবশ্যই ভালো লাগছে। অন্তত, জীবদ্দশায় পেলাম এটা ভেবেই ভালো লাগছে। এটি বড় স্বীকৃতি। কর্মের জন্য স্বীকৃতি। খবরটি জানার পর সুন্দর অনুভূতি কাজ করছে।

একুশে পদক প্রাপ্তির খবরটি শোনার সময় কোথায় ছিলেন?

আমি রিকশায় ছিলাম। মোবাইল পকেটে ছিল। একটার পর একটা ফোন আসছে। রিকশা থেকে নেমে একটি ওষুধের দোকানে যাই। বার বার ফোন আসতে থাকে। ফোন রিসিভ করি। সবাই শুধু অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমি তো প্রথমে বুঝতে পারিনি। বললাম, কেন অভিনন্দন জানাচ্ছেন? তারপর বললেন, দাদা আপনি তো একুশে পদক পাচ্ছেন। তারপর আমাকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় অফিসিয়ালি। শিল্পী, সাংবাদিক, আবৃত্তিশিল্পী থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ অভিনন্দন জানান। সবার ভালোবাসায় মুগ্ধতা বাড়ে।

আপনার ব্যাপক পরিচিতি অভিনয়ে, কিন্তু পেলেন আবৃত্তিতে, এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ আছে?

না, না। এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ নেই। কর্তৃপক্ষ যেখানে ভালো মন করেছেন দিয়েছেন। আমি এ নিয়ে আফসোস করি না। আসছে জুলাই মাসে ৭৭ বছর হবে আমার। জীবদ্দশায় অন্তত দেখে যেতে পারছি একুশে পদক প্রাপ্তি, এটাই আনন্দের। জীবদ্দশায় পাচ্ছি এটাই আনন্দের। অনেকেই তো মরণোত্তর পান। ৮০ কিংবা ৮৫ বছর বেঁচেও জীবদ্দশায় পান না। এটা হয়ত বা আমাদের ব্যর্থতা। জীবদ্দশায় আমরা মূল্যায়ন করতে পারি না। কিন্তু আমি তো বেঁচে থাকা অবস্থায় পাচ্ছি। এটা একটা সুখের ঘটনা।

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অনেক নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তার সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন ছিল?

হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল বন্ধুর মতো। পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। সুন্দর সম্পর্ক ছিল। প্রতি সপ্তাহে একবার হলেও আমাদের দেখা হতো, আড্ডা হতো। আমরা দারুণ সময় পার করেছি। তার এভাবে চলে যাওয়াটা এখনো আমাকে কষ্ট দেয়। বড় ক্ষতি সাহিত্যের যেমন হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবেও হয়েছে। তার কথা আজও মনে পড়ে। খুব মনে পড়ে। আমাদের সুন্দরভাবে কাটানো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে কষ্ট দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

We’ll respond to politics with politics, not with religion: Fakhrul

BNP unfazed by Jamaat’s efforts to form alliance with Islamist parties, he says

1h ago