তিস্তায় ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৫০ সেন্টিমিটার, লালমনিরহাটের ৮ পয়েন্টে ভাঙন

তিস্তা
পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে তিস্তায়। গত ১২ ঘণ্টায় ৫০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

আজ রোববার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ্দৌলা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উজান থেকে পাহাড়ি ঢল যেভাবে প্রবেশ করছে তাতে যে কোনো মুহূর্তে তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।'

এদিন সকাল ১০টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

'পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আজ সকালে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ গেটের সবগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে,' বলেন আসফা উদ্দৌলা।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী গ্রামে তিস্তাপাড়ের কৃষক নবীর আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শনিবার বিকেল পর্যন্ত তিস্তায় পানি কম ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে।'

'রোববার সকালে উজান থেকে হু হু করে পানি আসতে শুরু করে। নদীতে আরেকটু পানি বাড়লে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে হবে,' বলেন তিনি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি এলাকার কৃষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, 'জমিতে পানি নেই, পানির অভাবে আমনের চারা রোপন করতে পারিনি। এখন নদীতে শুধু পানি আর পানি। যে কোনো সময় বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে।'

যোগাযোগ করা হলে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তাপাড়ের জমিতে এখন তেমন ফসল নেই। কিছু জমিতে পাট রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সামান্য হলে পাটের তেমন ক্ষতি হবে না।'

পানি বাড়তে শুরু করায় তিস্তাপাড়ের ৮টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম; হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী ও গড্ডিমারী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী; আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড় ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও তাজপুর গ্রামে তিস্তার পাড় ভাঙতে শুরু করেছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এখনো কোথাও ভাঙন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়নি। আমরা খবর রাখছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

17h ago