যমুনা অয়েলের বোর্ড সভা আজ, ফতুল্লা ডিপোর অভিযুক্ত কর্মকর্তাও পদোন্নতির তালিকায়

যমুনা অয়েল কোম্পানির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গরমিল ধরা পড়েছে ফতুল্লা ডিপোতে। সম্প্রতি এই ডিপোতে পৌনে চার লাখ লিটার ডিজেলের হিসাব মেলাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারপরও এই ডিপোর অভিযুক্ত ইনচার্জকে দেওয়া হচ্ছে পদোন্নতি। একইসঙ্গে পদোন্নতির তালিকায় রয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাও।
অভিযোগ উঠেছে, ফতুল্লা ডিপোর ডিজেলের দুটি ট্যাংকের (২২ ও ২৩ নম্বর) ক্যালিব্রেশন রিপোর্ট ভুল রেখেই অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।
এই অভিযোগ তদন্তে জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এবং যমুনা অয়েলের তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হলেও তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দিতে পারেননি কমিটির সদস্যরা।
এর মধ্যেই পদোন্নতি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে। ব্যবস্থাপক থেকে সহকারী মহাব্যবস্থাপক হওয়ার তালিকায় রয়েছেন ১০ জন।
উপব্যবস্থাপক থেকে ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতির জন্য তালিকায় রয়েছেন আরও চার কর্মকর্তা।
এদের মধ্যে ফতুল্লা ডিপোর অভিযুক্ত ডিপো ব্যবস্থাপক (ইনচার্জ) মো. আসলাম খান আবুল উলায়ী এবং তদন্ত কর্মকর্তা কন্ট্রোলার অব ডিপো শেখ জাহিদ আহমেদও রয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় ফতুল্লা ডিপোর অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দেওয়া হচ্ছে পদোন্নতি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় যমুনা অয়েল কোম্পানির লিয়াজোঁ অফিসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক উপসচিবের নেতৃত্বে পদোন্নতি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-ই-এলাহীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদোন্নতি বোর্ডের সদস্যরা নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন কাদের পদোন্নতি দেওয়া যায়। এ মুহূর্তে আমার বেশি কিছু আর না বলাই ভালো।'
এ ছাড়া, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগে করা হলেও তারা কেউ সাড়া দেননি।
Comments