কুড়িগ্রামে উড়ে এলো বিরল প্রজাতির হিমালয় গৃধিনী শকুন
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সুকানদিঘী এলাকা থেকে বিরল হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে সচরাচর দেখা না গেলেও গতকাল শুক্রবার দুপুরে ছোট একটি গাছের ডালে বিশাল আকৃতির শকুনটিকে দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, শকুনটিকে উড়তে না দেখে প্রথমে তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ডাল ধরে বসে থাকায় পরে তারা সেটিকে সাবধানে ধরে বস্তাবন্দী করে রাখেন। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে গ্রীন ভিলেজ ফাউন্ডেশনের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন বিভাগকে বিষয়টি জানান। তাদের সহায়তায় শকুনটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম বন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
শকুনটি বন বিভাগের কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর তা দেখতে ভিড় করেন আশপাশের মানুষ। অনেকে জানান, কয়েক দশক আগেও এই অঞ্চলে মৃত প্রাণীর মাংস খেতে শকুনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, কিন্তু এখন তা একেবারেই বিরল। পথ ভুলে কিংবা খাদ্যের সন্ধানে শকুনটি এখানে এসে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
আজ শনিবার সকালে শকুনটি দেখতে আসা কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, 'এই এলাকায় শকুন দেখা প্রায় অসম্ভব। তাই খবর পেয়ে চলে এসেছি। বাস্তবে এমন শকুন দেখা সত্যিই বিরল অভিজ্ঞতা।'
গ্রীন ভিলেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম রশিদ আলী জানান, উদ্ধারকৃত প্রাণীটি হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির শকুন। হিমালয় নিকটবর্তী হওয়ায় ঠান্ডাজনিত কারণ বা পথ ভুলে এটি বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে।
কুড়িগ্রাম বন বিভাগের কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, 'শকুনটিকে রংপুর বন বিভাগে হস্তান্তর করা হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে একে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।'


Comments