বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি, সাময়িক বন্যার শঙ্কা

সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়তে থাকায় হাওরাঞ্চলের কৃষকদের ধান কাটার চাপ বেড়েছে। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সিলেটে সুরমা এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চলে সাময়িক সময়ের জন্য আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গতকালের চেয়ে ৮ সেন্টিমিটার কম।

তবে একই সময়ে সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি গতকালের চেয়ে ১২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার মাত্র ১১ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ধান কাটতে যাওয়ার জন্য কলাগাছের ভেলা তৈরি করছেন বাবা-ছেলে। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র প্রকাশিত মেঘনা বেসিনের নদ-নদীর অবস্থার সকালের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

তথ্যমতে, সকাল ৯টায় কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিদ পয়েন্টে গতকালের চেয়ে ১৪১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ নদী বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা পয়েন্টে ১৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচে এবং ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জৈন্তাপুর উপজেলার সারিগোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কাঁচা-পাকা ধান কেটে নিয়ে ফিরছে কৃষক। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

তবে শুক্রবার সকাল ৯টায় সারিগোয়াইন নদী উপজেলার সারিঘাট পয়েন্টে আগের দিনের চেয়ে ২৫৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৪১ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলায় সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা, ঝাদুখালি, যাদুকাটা, পাটনাই ও মহাশিং নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি না গেলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে ৫৩ মিলিমিটার। এ ছাড়াও, জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখালে ২৬ মিলিমিটার ও বিয়ানীবাজারের শেওলায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

শুক্রবার ভোররাতে জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় ১৫ মিলিমিটার ও কানাইঘাট উপজেলায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

A DARK DAY FOR INDEPENDENT JOURNALISM

They can burn our office, not our resolve

37m ago