বেঁধে দেওয়া দামের ২৯ পণ্যের ২৬টিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না বেশিরভাগ পণ্য। স্টার ফাইল ফটো

এক সপ্তাহ আগে সরকার ২৯টি খাদ্যপণ্যের দাম বেঁধে দিলেও ব্যবসায়ীরা এখনও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ২৬টি খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন।

গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যে দাম ঠিক করে দেয় তাতে শুধু ডিম, কাতলা মাছ ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

সোনালী মুরগির দাম কেজিতে ২৬২ টাকা বেঁধে দিয়েছিল অধিদপ্তর। কিন্তু রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কচুক্ষেত, ইব্রাহিমপুর ও শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজারে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকা।

প্রতি কেজি মসুর ডাল, মুগ, মাসকালাইসহ বিভিন্ন জাতের ডালের দাম নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ থেকে ৩৫ টাকা বেশি।

দুই কেজির কম ওজনের কাতলা মাছ ৩৫০ টাকা, একটি ডিম ১০-১১ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ কাতলা মাছের দাম ৩৫৩ টাকা কেজি, ডিম ১০ টাকা ৪৯ পয়সা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা নির্ধারণ করেছিল।

গত সপ্তাহে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বেগুন, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও কুমড়ার দাম কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা কমলেও এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।

কাঁচাবাজারের দোকানিরা বলছেন যে তারা বেশি দামে পণ্যগুলি কেনেন এবং বেঁধে দেওয়া দাম মেনে চললে তারা ব্যবসা চালাতে পারবেন না।

গতকাল কারওয়ান বাজারে বেশ কয়েকজন দোকানদারকে বাজার পর্যবেক্ষণকারী সরকারি সংস্থার সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায়।

কারওয়ান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা তমাল আহমেদ বলেন, 'পণ্যের দাম যদি কমাতেই না পারে তাহলে এসব করে কেন? এটা চোখে ধুলা দেওয়া ছাড়া আর কিছু না।'

পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী সবুজ শেখ বলেন, কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ তোলায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সবজির সস্তা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।

কারওয়ান বাজারের একটি মুদি দোকানের মালিক গোফরান বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা খুব কম বাজারে আসেন।

গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করলেও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানেও তা কার্যকর করা যায়নি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তে থাকায় সীমিত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকজন হিমশিম খাচ্ছেন।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকারকে অবশ্যই সঠিক বাজার মনিটরিং বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বাজারে কারসাজি করতে না পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago