দলের এই হারের দায় আমার: ঋষি সুনাক

নিজ আসনের ফল শোনার অপেক্ষায় ঋশি সুনাক। ছবি: রয়টার্স
নিজ আসনের ফল শোনার অপেক্ষায় ঋশি সুনাক। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ দলের ভরাডুবি হয়েছে। এই হারের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বলেছেন, 'দলের এই হারের দায় আমার। আমি দুঃখিত। কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন।'

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যা পেরিয়ে বিপুল জয়ের পথে লেবার পার্টি। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। তিনি লেবার পার্টির বর্তমান প্রধান।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমনস। ৬৫০ আসনের হাউস অফ কমনসে ৪১০টি আসন পেতে পারে লেবার পার্টি। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ে ১৭০টি আসনে এগিয়ে থাকতে পারে তারা। বুথ ফেরত সমীক্ষায় এমনই ফলাফলের ইঙ্গিত মিলছে।

ইতোমধ্যেই ফলাফল ঘোষণাও শুরু হয়ে গেছে। লেবার পার্টি ৩৬৮ আসনে এগিয়ে। কনজারভেটিভরা এগিয়ে ৮৭টি আসনে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার কিয়ার স্টারমার তার লন্ডন আসনে বিপুল ভোটে জয়ী ঘোষিত হয়েছেন। তিনি এখন লেবার পার্টির প্রধান। সব ঠিক থাকলে তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

জয়ী ঘোষণা হওয়ার পর স্টারমার বলেছেন, 'আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছেন। এবার আমাদের আপনাদের জন্য কাজ করতে হবে।'

১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের ভোটে এত ভালো ফলাফল করতে চলেছে লেবার পার্টি।

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। ছবি: রয়টার্স

অপরদিকে, ভয়াবহ ফলাফল হতে পারে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির। সব মিলিয়ে তারা জিততে পারে ১৩১ আসন। লিবারাল ডেমোক্র্যাট ও রিফর্ম পার্টিও আগের চেয়ে আসন সংখ্যা বাড়াতে পারে।

ব্রেক্সিটের ফসল নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে দল সব মিলিয়ে ১৩ আসনে জয় পেতে পারে।

অ্যাশফিল্ড আসনে লড়াই করেছেন রিফর্ম পার্টির লি অ্যান্ডারসন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ছিলেন এবং এই আসন থেকেই জিতেছিলেন। এবারও ওই আসন থেকে রিফর্ম পার্টির হয়ে জয়লাভ করেছেন তিনি।

ফারাজ জানান, তাদের এই ফল বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।

১৩ আসন নিয়ে পার্লামেন্টে চতুর্থ বৃহত্তম দলের জায়গা পাবে রিফর্ম পার্টি।

বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, মানুষ সুনাকের সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত খারাপ ফলাফল করেনি কনজারভেটিভ পার্টি। এই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়েই সুনাককে বিদায় নিতে হবে। এবং ইতোমধ্যে তিনি মাথা পেতে এই দায় স্বীকারও করে নিয়েছেন।

বুথ ফেরত সমীক্ষায় ভোটদাতারা বলেছেন, অর্থনীতির উন্নয়ন এবং আরেকটু ভালো জীবনযাপনের কথা মাথায় রেখে তারা ভোট দিয়েছেন। সুনাক যেভাবে অর্থনীতি সামলেছেন, তার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।

রয়টার্স, এপি, এএফপি

Comments

The Daily Star  | English
The Costs Of Autonomy Loss of Central Bank

Bangladesh Bank’s lost autonomy has a hefty price

Economists blame rising bad debt, soaring prices and illicit fund flows on central bank’s waning independence

13h ago