যে কারণে গ্রেপ্তার হলেন টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী পাভেল দুরভ

টেলিগ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ। ফাইল ছবি: এএফপি
টেলিগ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ। ফাইল ছবি: এএফপি

রুশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাভেল দুরভকে গ্রেপ্তার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। প্যারিসের উত্তরের এক বিমানবন্দরে তিনি গ্রেপ্তার হন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। 

ফরাসি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুরভের ব্যক্তিগত জেটবিমান লে বোজে বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে আটক করা হয়। 

কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩৯ বছর বয়সী এই ধনকুবেরকে তার জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ-সংশ্লিষ্ট অভিযোগের জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুরভের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, টেলিগ্রামের মাধ্যমে অপরাধমূলক কার্যক্রম ঠেকাতে যথেষ্ঠ উদ্যোগ নিচ্ছেন না তিনি। এ ছাড়া, এই অ্যাপের কার্যক্রমে নজর রাখার জন্য যথেষ্ঠ মডারেটর নিয়োগ দেননি, এমন অভিযোগও রয়েছে।

এসব অভিযোগ নিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী দুরভ দুবাই থাকেন। কথিত আছে, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে তার।

রাশিয়া, ইউক্রেন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে টেলিগ্রাম বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

ইউজারদের ডাটা সরকারের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করায় ২০১৮ সালে রাশিয়ায় এই অ্যাপ ব্যান করা হয়। তবে ২০২১ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। 

জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেঞ্জারের কাতারে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও উইচ্যাটের পরই টেলিগ্রামের অবস্থান।

টেলিগ্রামের লোগো সম্বলিত প্রতিকী ছবিঃ রয়টার্স
টেলিগ্রামের লোগো সম্বলিত প্রতিকী ছবিঃ রয়টার্স

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ কোটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠার এক বছর পর রাশিয়া ছেড়ে যান দুরভ।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া ঝাখারোভা টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানতে চান, দুরভের গ্রেপ্তারে পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থা ও এনজিওগুলো কেন চুপ রয়েছে।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন রুশ কর্মকর্তা দুরভের গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়েছেন।

এক্সের সত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্ক দুরভকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বেশ কয়েকবার পোস্ট করেছেন। তিনি তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মডারেশন ও অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগে নিন্দার মুখোমুখি হয়েছেন।

তিনি #ফ্রিপাভেল হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট করছেন। এক পোস্টে তিনি বলেন, 'এরকম চলতে থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ ইউরোপে বসে মিম পোস্ট করার জন্য আপনাকে ফাঁসি দেওয়া হতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English
Former president Hamid airport CCTV footage

The story of Hamid’s exit

Security footage obtained and analysed by The Daily Star shows that Hamid's car reached the barrier gate of the VIP terminal at 12:46am on May 8

13h ago