ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ মাওবাদী নিহত

গোপন অবস্থানে মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মাওবাদীরা। ফাইল ছবি: ডয়চে ভেলে
গোপন অবস্থানে মহড়ায় অংশ নিচ্ছে মাওবাদীরা। ফাইল ছবি: ডয়চে ভেলে

ভারতীয় কমান্ডোদের হাতে মহারাষ্ট্রে পাঁচ মাওবাদী নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীদের দমনের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সম্প্রতি মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের তীব্রতা বেড়েছে।  

নকশাল আন্দোলনের জেরে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গত কয়েক দশকে নিহত হয়েছেন। বিদ্রোহীরা দাবি করেন, তারা ভারতের খনিজ সমৃদ্ধ ও দুর্গম এলাকার প্রান্তিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে লড়ছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মাওবাদীদের কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে। সরকারি তথ্য মতে চলতি বছরের ২০০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার মহারাষ্ট্রের পুলিশ সুপার নিলুৎপল স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাঁচ নকশালবাদী গুলি চালানোর পর পাল্টা গুলিতে তারা সবাই নিহত হন।'

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন নারী ও দুই পুরুষ রয়েছেন।

এই সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর এক কমান্ডো আহত হন। গোলাগুলির মাঝেই তাকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।

সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাওবাদী বিদ্রোহীদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আত্মসমর্পণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে 'সর্বাত্মক' হামলা চালানো হবে।

তিনি জানান, ২০২৬ এর মাঝে সরকার নকশালবাদীদের নির্মূলের লক্ষ্য হাতে নিয়েছে।

১৯৬৭ সালে নকশালবাড়ি গ্রাম থেকে সশস্ত্র নকশালবাদ আন্দোলন শুরু হয়। চীনের বিপ্লবী নেতা মাও সে তুং এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এই আন্দোলন শুরু করেন। এ কারণে তারা 'মাওবাদী' নামেও পরিচিত।

চেয়ারম্যান মাও সে তুং। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
চেয়ারম্যান মাও সে তুং। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পূর্ব ও দক্ষিণের কিছু দুর্গম এলাকায় ভূমি, চাকরি ও স্থানীয়দের জন্য নিজ নিজ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যায্য ভাগের দাবিতে এই আন্দোলন চলছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি অঞ্চলই প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এই আন্দোলন বেগবান হয়। অসংখ্য মানুষ এতে যোগ দেন। পরবর্তীতে, নয়াদিল্লি বিদ্রোহিদের বিরুদ্ধে হাজার দশেক নিরাপত্তা কর্মী নিযুক্ত করে। 'রেড করিডর' নামের একখণ্ড ভূমিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
Ducsu election 2025

The final act: Learning to accept election defeat

Ducsu delivers a participatory election. Can unsuccessful candidates accept loss gracefully?

1h ago