‘পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এআই নয়, মানুষের হাতে থাকা উচিত’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: রয়টার্স

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত যেন কখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কাছে না গিয়ে মানুষের হাতে থাকে, সে ব্যাপারে একমত হয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার এপেক (এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরাম) সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক করেন বাইডেন ও জিনপিং। এটিই জিনপিংয়ের সঙ্গে বাইডেনের সর্বশেষ কূটনৈতিক বৈঠক বলে নিশ্চিত করেছে এপি।

বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মানুষের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা নিশ্চিত করেছেন দুই নেতা। সামরিক খাতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে সম্ভাব্য ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে বিচক্ষণতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এই প্রযুক্তি বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তারা।'

বৈঠক নিয়ে চীনের সরকারি বিবৃতিতেও এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, গত বছর বেইজিংয়ের কাছে ৫০০টি সক্রিয় পারমাণবিক ওয়ারহেড ছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা হাজার পেরিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে পেন্টাগন।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৭৭০ ও রাশিয়ার ১৭১০টি সক্রিয় পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। তবে পেন্টাগন বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বেইজিংয়ের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বেশি থাকবে।

উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়া থেকে সরাতে জিনপিংকে বাইডেনের অনুরোধ

এপেকের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক সম্পর্ক যেন আরও গভীর না হয়, সেটি নিশ্চিত করতেও চীনা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছেন বাইডেন।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা এপি ও সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাইডেন বলেন, এই যুদ্ধ নিয়ে বেইজিংয়ের আনুষ্ঠানিক অবস্থান হচ্ছে 'উত্তেজনা বাড়ানো যাবে না, সংঘাত বড় করা যাবে না'। রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন এই নীতির বাইরে যায়।

বাইডেন আরও বলেন, 'এই সংঘাতের সম্প্রসারণ রোধ করার সামর্থ্য রয়েছে চীনের। সেই প্রভাব ও সামর্থ্য ব্যবহার করে বেইজিংয়ের উচিত উত্তর কোরিয়া যেন আরও সেনা মোতায়েন করে সংঘাত বড় না করে, সেটি নিশ্চিত করা।'

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

7h ago