এবার যুক্তরাজ্যের স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা

অস্ত্র প্রদর্শনীতে যুক্তরাজ্যের স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: এএফপি
অস্ত্র প্রদর্শনীতে যুক্তরাজ্যের স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার ভেতরে এবার যুক্তরাজ্যে তৈরি স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল দিয়ে হামলা করেছে ইউক্রেন।

আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বুধবার দূরপাল্লার ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র স্টর্ম শ্যাডো দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত করেছে ইউক্রেন।

তবে শুধু ব্লুমবার্গ নয়, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসও সূত্র উদ্ধৃত করে এবং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও দেখে একই খবর দিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভিতরে আঘাত করার চেষ্টা করেছে ইউক্রেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা এই প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।

ইউক্রেনকে যুক্তরাজ্য গত বছর স্টর্ম শ্যাডো দূরপাল্লার মিসাইল দিয়েছিল। কিন্তু শর্ত ছিল, তা ইউক্রেনের ভিতরেই ব্যবহার করতে হবে।

গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় আঘাত করার অনুমতি চাইছিলেন।

স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ২৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে। ফলে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার গভীরে আক্রমণ করতে পারছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগে বলেছেন, মার্কিন ও ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যদি রাশিয়ার ভিতরে আক্রমণ চালানো হয়, তার অর্থ হবে, ন্যাটো সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল।

মার্কিন ভূমিমাইন খুবই জরুরি, বললেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনকে বিতর্কিত ভূমিমাইন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফাইল ছবি: এএফপি
ইউক্রেনকে বিতর্কিত ভূমিমাইন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফাইল ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন ভূমিমাইন খুবই জরুরি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তারা ইউক্রেনকে ভূমিমাইন দিচ্ছেন। তবে এই ভূমিমাইনগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে এর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে।

জেলেনস্কি বলেছেন, এর ফলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী আরো শক্তিশালী হবে।

খুলেছে মার্কিন দূতাবাস

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস বৃহস্পতিবার খুলবে।

বুধবার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ছিল। কোন হামলার ভয়ে তা বন্ধ রাখা হয়, তা মিলার জানাননি।

তিনি বলেছেন, 'আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই।'

মঙ্গলবার ইউক্রেন রাশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। তারপরই রাশিয়া জানিয়েছিল, তারা প্রতিশোধ নেবে। এরপর কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

9h ago