দ. কোরিয়ায় প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জেরে দল প্রধানের পদত্যাগ

বক্তব্য দেওয়ার আগে চশমা ঠিক করছেন পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা ও চেয়ারম্যান হ্যানডং-হুন। ছবি: রয়টার্স
বক্তব্য দেওয়ার আগে চশমা ঠিক করছেন পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা ও চেয়ারম্যান হ্যানডং-হুন। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা ও চেয়ারম্যান হ্যানডং-হুন দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তার দল থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে দেশটির পার্লামেন্ট সফল ভাবে অভিশংসিত করার পরই তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আজ সোমবার হ্যানডং-হুনের পদত্যাদের তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ড। 

তিনি জানান, ইউনকে অভিশংসন করার যে সিদ্ধান্ত তার দলের আইনপ্রণেতারা নিয়েছেন, তাতে সমর্থন দিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন।

দেশটির পার্লামেন্টে একটি সংবাদ সম্মেলনে হ্যানডং বলেন, 'আমি ক্ষমতাসীন দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।'

'দলের স্থায়ী কমিটি কার্যত ধসে পড়েছে। যার ফলে আমার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অভিশংসন বেদনাদায়ক ছিল, কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুতপ্ত নই।'

২৩ জুলাই দলের জাতীয় সম্মেলনে পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন হ্যানডং। পাঁচ মাসের মাথায় তিনি পদত্যাগ করলেন।

এর আগে দলের ইওলপন্থি নেতা-কর্মীরা তার পদত্যাগের দাবি করলেও তিনি রাজি হননি। ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা দাবি করেছেন, ইউনের অভিশংসন প্রক্রিয়ার জন্য হ্যানডংকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।

শিগগিরই সাবেক হতে চলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ফাইল ছবি: রয়টার্স
শিগগিরই সাবেক হতে চলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইতোমধ্যে, ক্ষমতাসীন দলের স্থায়ী কমিটির (সুপ্রিম কাউন্সিল নামে পরিচিত) পাঁচ নির্বাচিত সদস্যের প্রত্যেকেই এই সঙ্কটের মুখে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

এই চাপের মুখে নতি স্বীকার করেই হ্যানডং পদত্যাগে করেছেন—এমনই মত দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

সাবেক কৌঁসুলি হ্যানডং রাজনীতির অঙ্গনে খুব বেশিদিন বিচরণ করেননি।

হঠাত করেই প্রেসিডেন্ট ইওল দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারির পর দেশটিতে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে দুই বারের চেষ্টায় প্রেসিডেন্টকে অভিসংশিত করতে পেরেছে দেশটির পার্লামেন্ট।

হ্যানডং চেয়েছিলেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করবেন ইওল। তবে তিনি তা করতে রাজি হননি।

 

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago