ইরানে ইসরায়েলি হামলার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ গাজার ত্রাণ সহায়তা

ইরানে ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য ফ্রান্স ও সৌদি আরব আয়োজিত জাতিসংঘের সম্মেলনটিও স্থগিত করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তেহরানে ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গাজা গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের জন্য ইসরায়েলের ওপর তৈরি হওয়া আন্তর্জাতিক চাপ কার্যত উবে গেছে।

ইসরায়েলও দ্রুত ঘোষণা দিয়েছে, ইরানই এখন তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, গাজা দ্বিতীয় স্থানে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদক এমা গ্রাহাম-হ্যারিসনের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংবাদমাধ্যমগুলোতেও এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হচ্ছে।

প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সাবেক উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাভিয়ার আবু ঈদ বলেন, 'ইরানে ইসরায়েলের হামলার অর্থ এই না যে গাজার যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। আজও সেখানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। পার্থক্য শুধু এটাই, গাজা এখন আগের চেয়ে অনেক কম মনোযোগ পাবে।'

'এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল বলতে চাইছে, এই অঞ্চলের কোনো সমস্যারই রাজনৈতিক সমাধান নেই। ইরানে হামলা চালিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনা ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে,' যোগ করেন তিনি।

শুক্রবার সকালে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে নিয়োজিত ইরানের বেশ কিছু বিজ্ঞানী, সামরিক বাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা, দেশটির ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও নাতানজ ইউরেনিয়াম পরিশোধনাগার লক্ষ্য করে বড় আকারের হামলা চালায় ইসরায়েল।

জবাবে ইসরায়েলেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
 

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

1h ago