এখনো গাজার দিকে ছুটছে ফ্লোটিলার এক জাহাজ

গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার প্রতীকী নৌবহর বা ফ্লোটিলা অভিযান কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে বলেই শোনা গিয়েছিল। ছোট ছোট জাহাজগুলোর বেশিরভাগই ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তবে এখনো ইসরায়েলি আগ্রাসন ও চোখ রাঙানিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে 'ম্যারিনেট' নামের জাহাজটি গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ও ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদন মতে, একটি ছাড়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সবগুলো জাহাজই এখন ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। তথ্যের সূত্র ভেদে জাহাজের সংখ্যা নিয়ে খানিকটা মতভেদ আছে।
ইসরায়েলি সেনা জানিয়েছে, ফ্লোটিলায় ৪৭টি জাহাজ ছিল। ফ্লোটিলা ট্র্যাকারে গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৪ ও আজ ৪২টি জাহাজ দেখানো হচ্ছে।
সব বাধাকে উপেক্ষা করে পোল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ম্যারিনেট এখনো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওই ছোট জাহাজে ছয় জন যাত্রী আছেন।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার মতে ম্যারিনেট এখনো আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে ঘণ্টায় ২ দশমিক ১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) বেগে ছুটে চলেছে।
গাজার জলসীমা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) বা ৮০ নটিকাল মাইল দূরে আছে জাহাজটি।
এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুশিয়ারি দেয়, সর্বশেষ জাহাজটি যদি গাজার দিকে আগাতে থাকে, তাহলে সেটাকে 'সক্রিয় যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে অনুপ্রবেশ ও অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টা' হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং তা প্রতিহত করা হবে।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে ম্যারিনেটের ক্যাপ্টেন জানান, জাহাজের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে এখন তা সারিয়ে ফেলা হয়েছে।
এখনো জাহাজটিতে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সংযোগ চালু আছে এবং যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ফ্লোটিলার আয়োজকরা।
লাইভস্ট্রিমে বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটেও জাহাজটিকে 'সেইলিং' বা গতিশীল দেখানো হয়েছে।
এর আগে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ম্যারিনেটের বিষয়টি জানায় ফ্লোটিলার আয়োজক 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা'।
সংগঠনটি উল্লেখ করে, 'সে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছে। এটা শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট মানে সুমুদ—আতঙ্ক, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে অঙ্গীকারের প্রতীক।'
'গাজা একা নয়। ফিলিস্তিনের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না', যোগ করে সংগঠনটি।
Comments