আরও আলোচনা চায় হামাস, কীভাবে এগোবে?

গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হামাস বলছে, তারা প্রস্তাবের একাংশে সম্মত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা গাজার শাসনভার হস্তান্তর করবে এবং সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তবে ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে তারা আরও আলোচনা চাইছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে ইসরায়েলকে দ্রুত বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল জিম্মিদের মুক্তির জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনার 'প্রথম ধাপ' বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নেবে এবং যুদ্ধ শেষ করতে 'প্রেসিডেন্ট ও তার দলের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতায় কাজ করা'র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এটা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট যে, ট্রাম্প তার শান্তি প্রস্তাব নিয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া কিছুটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে মূল কিছু শর্ত মানতে হামাসের অস্বীকৃতিতে ভবিষ্যতে সংঘাত কোন পর্যায়ে যাবে, তা স্পষ্ট নয়। আর সম্ভাব্য আলোচনা কীভাবে এগোবে, সেটিও এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
অলিভার ম্যাকটারনান মধ্যপ্রাচ্যে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সংঘাত সমাধানে কাজ করছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, হামাসের ভাষ্য, সিদ্ধান্ত ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ওপর নির্ভর করছে। তাদেরই বলতে হবে, শান্তি প্রস্তাব নিয়ে হামাসের আরও আলোচনার আহ্বান তারা মেনে নেবেন কি না।
তিনি বলেছেন, কার কারণে সংঘাত চলছে তা গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, ট্রাম্প ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দিতে বলতে পারেন। এ ছাড়া আরও আলোচনার সুযোগ রাখাটাও জরুরি।
ম্যাকটারনান যোগ করেন, 'আমি মনে করি, আমরা এমন সমাধানের দিকে এগোতে পারি, যা পরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে স্থায়ী চুক্তিতে সাহায্য করবে।'
আজ শনিবার ভোরে গাজায় একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। অথচ একদিন আগেই ট্রাম্প ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
Comments