গাজা যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে ইইউ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা
কাজা কালাস। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইসরায়েল আশা করছে—গাজা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় এর পুরস্কার হিসেবে দেশটির ওপর বিদ্যমান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞগুলো তুলে নেওয়া হোক। গাজায় ইসরায়েল যে গণহত্যা চালিয়েছে এর কোনো বিচার করা যাবে না।

কিন্তু, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিভাগের প্রধান কাজা কালাস চান ইসরায়েল যাতে গাজা যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে গণহত্যাকারী দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাওয়া দরকার।

গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ইইউ বিবেচনায় রাখতে চায়।

ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কাজা কালাস বলেন, 'যুদ্ধবিরতির ফলে পরিস্থিতি বদলেছে। এটা সবার কাছে পরিষ্কার। তবে গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানোসহ বাস্তবিক পরিবর্তন যতক্ষণ না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায় থাকবে।'

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইসরায়েল গাজা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার আগে ইইউ ইসরায়েলি মন্ত্রীদের কালো তালিকাভুক্ত ও দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল।

কাজা কালাসের ভাষ্য, 'আমরা এখনো এগুলো কার্যকর করিনি। সেগুলোকে আলোচনার টেবিল থেকে সরিয়েও দিইনি। কেননা, পরিস্থিতি এখনো নাজুক।'

তিনি আরও বলেন, ইইউ চায় গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হোক। ফিলিস্তিনিদের হাতে কর-শুল্কের অর্থ তুলে দেওয়া হোক। গাজায় সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হোক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন নেওয়া হোক।

ইসরায়েল চায় ইইউ এসব দাবি প্রত্যাহার করে শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিক।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগেই ইউরোপীয় জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়।

ফিলিস্তিনে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দেওয়া এই জোটটি যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পুনর্গঠনে কাজ করতে চায়। তবে ইসরায়েল এখনো মিশরের সঙ্গে গাজার রাফা সীমান্ত বন্ধ করে রাখায় ইইউ মিশন কাজ শুরু করতে পারছে না বলেও সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia’s janaza held

The namaz-e-janaza of BNP Chairperson Khaleda Zia was held at the South Plaza of the Jatiya Sangsad Bhaban today

6h ago