আফগানিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ‘ব্যর্থ’ হয়েছে: পাকিস্তান

পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তের কাছে আফগানিস্তানে আরপিজি হাতে টহল দিচ্ছেন এক তালিবান সদস্য। ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা কার্যকর কোনো সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে নিজেদের জনগণের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইসলামাবাদ।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে চার দিনব্যাপী আলোচনা শেষে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আজ বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ কথা জানান।

আতাউল্লাহ তারার বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আফগানিস্তানের দিক থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তারা মূল বিষয় থেকে সরে গেছে এবং দোষারোপ ও ছলচাতুরী করেছে।' তিনি আরও বলেন, 'এভাবে আলোচনায় কোনো কার্যকর সমাধান পৌছানো যায়নি।'

গত ৯ অক্টোবর কাবুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় তালেবান কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপরই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর, ১৯ অক্টোবর দোহায় আলোচনার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। পরে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে ইস্তাম্বুলে আলোচনার আয়োজন করা হয়।

একসময়ের মিত্র পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিক্ততায় গড়িয়েছে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তান পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেয়। এই জঙ্গিরা পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালায়।

তথ্যমন্ত্রী তারার বলেন, পাকিস্তান শান্তির মনোভাব নিয়েই আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। কিন্তু তিনি কাবুলকে 'পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসীদের প্রতি অবারিত সমর্থন' দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন।

তারার আরও বলেন, 'আমরা সন্ত্রাসবাদের হুমকি থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সম্ভাব্য ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখব।' তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের আশ্রয়স্থল, তাদের প্ররোচনাকারী ও সমর্থকদের নির্মূল করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Which countries are affected by Trump's travel bans to the US?

US President Donald Trump signed a proclamation on Tuesday further restricting the entry of foreign nationals to the United States.

53m ago