কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার ২ তেলবাহী ট্যাংকারে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
কৃষ্ণ সাগরে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দুটি রুশ ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ট্যাংকার দুটি বিদেশে রপ্তানির জন্য তেল নিতে রাশিয়ার নভোরোসিস্ক বন্দরে যাচ্ছিল।
স্থানীয় সময় শনিবার ইউক্রেনের নিরাপত্তা সেবার একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত দুই ট্যাংকারের নাম কাইরোস ও ভিরাট। তবে হামলার সময় ট্যাংকার দুটি খালি ছিল এবং কৃষ্ণ সাগরের প্রধান রুশ টার্মিনাল নভোরোসিস্কে পৌঁছানোর পথে ছিল।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দ্রুতগতির নৌ ড্রোন বিশাল ট্যাংকারের দিকে গিয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটায় এবং আগুন ধরে যায়।
তবে রয়টার্স স্বাধীনভাবে ভিডিওর ট্যাংকার বা স্থান-সময় যাচাই করতে পারেনি।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বলেন, 'ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর দুটি জাহাজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এটি রাশিয়ার তেল পরিবহন ব্যবস্থায় বড় আঘাত।'
ইউক্রেন কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার তেল শোধনাগারে দীর্ঘ-পাল্লার ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।
কিয়েভ দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার 'শ্যাডো ফ্লিট'-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলছে। এ বহর নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়াকে বিপুল পরিমাণ তেল রপ্তানিতে সহায়তা করে।
ইউক্রেন আক্রমণের পর শত শত পুরনো ও নিয়ন্ত্রণহীন জাহাজ নিয়েই গঠিত হয় এ 'শ্যাডো ফ্লিট', যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে তেল বহন করে।
এদিকে কাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসোর্টিয়াম (সিপিসি) জানায়, রুশ কৃষ্ণ সাগর টার্মিনালের একটি মোরিং ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
সিপিসি মূলত কাজাখস্তানের তেল রপ্তানি করে। কাজাখস্তান এ হামলাকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলেছে। সিপিসি বিশ্বের ১ শতাংশ তেল পরিবহন করে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
এদিকে তুরস্ক বলেছে, হামলাগুলো তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে হয়েছে এবং এটি বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওনচু কেচেলি বলেন, আঙ্কারা কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এবং নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
অবশ্য ইউক্রেনের কর্মকর্তারা হামলার সঠিক সময় জানাননি। রাশিয়া এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।


Comments