ইউক্রেনের ওডেসায় ব্যাপক রুশ হামলা, লাখো মানুষ বিদ্যুৎহীন
ইউক্রেনের দক্ষিণে ওডেসা অঞ্চলে হামলা বাড়াচ্ছে রাশিয়া। এতে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে এবং ওই অঞ্চলের সমুদ্রবন্দর ও অবকাঠামোর জন্য হুমকি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, মস্কো এই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধের মনোযোগ 'ওডেসার দিকে সরে যেতে পারে।'
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মস্কো বারবার হামলা চালিয়ে সমুদ্রপথে ইউক্রেনের সরবরাহশৃঙ্খল ব্যাহত করতে চাইছে।
ডিসেম্বরের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুমকি দিয়েছিলেন, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার 'শ্যাডো ফ্লিট' ট্যাংকারে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনকে সমুদ্রপথ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
'শ্যাডো ফ্লিট' হলো শতাধিক ট্যাঙ্কারের বহর। রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ আক্রমণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলার জন্য এসব ট্যাঙ্কার ব্যবহার করছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ওডেসার বন্দরে হামলা হয়। এতে একটি বেসামরিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর।
টানা হামলায় ওই এলাকায় কিছুদিন ধরেই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। কিছু মানুষ হামলায় আহতও হয়েছেন।
রোববার রাতের হামলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়েন প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। একটি বড় বন্দরে আগুন ধরে যায়। এতে আটা ও তেলের কয়েক ডজন কন্টেইনার পুড়িয়ে দেয়।
গত সপ্তাহে ওডেসার পূর্বের পিভডেননিই বন্দরে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আটজন নিহত হন এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
সপ্তাহের শুরুতে আরেকটি হামলায় একটি গাড়িতে থাকা এক নারী ও তার তিন সন্তান নিহত হন। একইসঙ্গে ইউক্রেন ও মলদোভাকে সংযুক্ত করা সেতুটি অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
ওডেসার বন্দর দেশটির অর্থনীতির জন্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিয়েভ ও খারকিভের পর এটি ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর।
এখন এর কৌশলগত গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে, কারণ ঝাপোরিঝিয়া, খেরসন ও মাইকোলাইভ অঞ্চলের অন্যান্য বন্দর রাশিয়ার দখলের কারণে ইউক্রেনের জন্য বন্ধ।
যুদ্ধের পরও ইউক্রেন বিশ্বে গম ও ভুট্টার প্রধান রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে একটি।


Comments