থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চালু, আবারও কৃতিত্ব নিলেন ট্রাম্প
একদিন আগেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। চুক্তি অনুযায়ী আজ থেকে শুরু হয়েছে সেই বিরতি।
আর যুদ্ধবিরতির মাহেন্দ্রক্ষণকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগেরবারের মতো এবারও 'যুদ্ধ বন্ধের' দাবি করেছেন এই নন্দিত-নিন্দিত বিশ্বনেতা।
আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
চলতি বছরের ২৪ জুলাই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ২৮ জুলাই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের 'হুমকির' বদৌলতে দুই দেশ অবিলম্বে ও বিনা শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়।
ওই যুদ্ধবিরতিকে নিজের অর্জন আখ্যা দেন ট্রাম্প। এর আগে আলাদা করে নিজ শাসনামলে অন্তত আটটি বৈশ্বিক সংঘাত নিরসনের কৃতিত্ব নিয়েছেন ট্রাম্প।
পরবর্তীতে অক্টোবরে কুয়ালালামপুরে একটি আনুষ্ঠানিক সম্মেলনে এই চুক্তিকে আনুষ্ঠানিকতা দেওয়া হয়। সেখানে ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু ৭ ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের সীমান্তের বিতর্কিত অংশগুলোতে আবারও হামলা শুরু হয়। ভেস্তে যায় যুদ্ধবিরতি।
অবশেষে প্রায় তিন সপ্তাহ পর আবারও বিরতি এলো যুদ্ধে।
ট্রাম্প বলেন, 'দ্রুত ও অত্যন্ত ন্যায্য এই উপসংহারে পৌঁছানোর জন্য আমি দুই দেশের মহান নেতাকে অভিনন্দন জানাই।'
ট্রুথ সোশালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত দ্রুত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
'এ ধরনের সকল পরিস্থিতির ক্ষেত্রেই এরকম (সমাধান) হওয়া উচিৎ', যোগ করেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, চীন ও মালয়েশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল এবং ওয়াশিংটন 'সাহায্য করতে পেরে গর্বিত।'
আজ দিনের পরবর্তী অংশে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প।
ওই বৈঠককে সামনে রেখে বৈশ্বিক সংঘাত নিরসনে নিজের স্ব-ঘোষিত ভূমিকার প্রশংসা করেন এই বিশ্বনেতা।
ট্রাম্প বলেন, 'সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই প্রকৃত অর্থে জাতিসংঘে পরিণত হয়েছে।'
'জাতিসংঘকে আরও সক্রিয় হতে হবে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে জড়িত থাকতে হবে', বলেন ট্রাম্প।
তিন সপ্তাহের সংঘাতে উভয় পক্ষ মিলিয়ে অন্তত ৪৭ জন নিহত হন। বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। দুই দেশের সীমান্তের প্রায় প্রতিটি প্রদেশেই সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার যুদ্ধবিরতি, সেনা মোতায়েন বন্ধ ও বেসামরিক মানুষদের সীমান্ত এলাকায় নির্বিঘ্নে নিজ বাড়িতে ফিরতে দিতে সম্মতি দেয় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।
যুদ্ধবিরতির পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র সঙ্গে দুই দিনের সম্মেলনে যোগ দেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আজ শুরু হয়েছে সেই সম্মেলন।


Comments