কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ থাই সেনাবাহিনীর
কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য সই করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী।
বার্তা সংস্থা এএফপি আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে ২৫০টির বেশি ড্রোন উড়িয়েছে কম্বোডিয়া।
থাই সেনাবাহিনী সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, রোববার রাতে কম্বোডিয়ার দিক থেকে উড়ে আসা ড্রোনগুলো থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে। তাদের মতে, এই তৎপরতা উসকানিমূলক এবং যুদ্ধবিরতি ও উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া যৌথ সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।
এএফপি জানিয়েছে, চলতি মাসে সীমান্ত সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর গত শনিবার থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইন্থাই সুওয়ারি এএফপিকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় জুলাইয়ে আটক করা ১৮ জন কম্বোডীয় সেনাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে থাইল্যান্ড।
এদিকে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখন ড্রোন-সংক্রান্ত ঘটনাটিকে 'একটি ছোটখাটো বিষয়' হিসেবে বর্ণনা করেন।
এএফপি জানিয়েছে, আজ সোমবার চীনের ইউনান প্রদেশে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও চীনের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া এই লড়াই উভয় পক্ষের প্রায় সব সীমান্ত প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে, এতে আগের একটি যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়—যার কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে দাবি করেছিলেন।
গত শনিবার সই করা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধ বন্ধ, সেনা চলাচল স্থগিত এবং মাইন অপসারণ ও সাইবার অপরাধ দমনে সহযোগিতায় সম্মত হয় বলে জানিয়েছে এএফপি।
তবে ড্রোন তৎপরতার ঘটনায় যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।


Comments