ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হতে চান?

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট
ছবি: নাতাশা জাহান

গেইট বন্ধ হলো, ইঞ্জিন চালু হলো আর উড়োজাহাজ টেক অফ করল। ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে মেঘের আড়ালে ঢাকা পৃথিবীটা দেখায় আবছা, পরিচিত শহরটিকেও অচেনা বলে মনে হয়। আপনি হয়তো উড়োজাহাজে চেপে নতুন কোনো দেশে যাচ্ছেন অথবা অন্য কোনো গন্তব্যে যাচ্ছেন স্রেফ ছুটি কাটাতে। কিন্তু একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের জন্য এই উড্ডয়ন তাদের দৈনন্দিন কাজের একটি অংশ মাত্র।

বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ এবং অন্যরকম পরিবেশে কাজের জন্য অনেকেরই স্বপ্ন ফ্লাইট অ্যাডেটডেন্ট হওয়া। কিন্তু আকর্ষণীয় এই চাকরির পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, যথাযথ যোগ্যতা, কঠিন প্রশিক্ষণ এবং সময় মাপা কাজ।

সংস্থাভেদে চাকরির প্রয়োজনীয় যোগ্যতায় তারতম্য হতে পারে, কিন্তু কিছু সার্বজনীন যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হয়।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট শামীমা আক্তার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, 'পুরুষদের সাধারণত কমপক্ষে ১৬৮ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার হতে হয়, নারীদের হতে হয় অন্তত ১৬১ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। এছাড়া আবেদন করার জন্য প্রার্থীর পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ানোর সময় তাদের বাহু ২১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হওয়া প্রয়োজন।'

'অন্যান্য শারীরিক যে যোগ্যতা প্রয়োজন হয় তার মধ্যে পুরুষদের জন্য সাধারণত বডি ম্যাস ইনডেক্স ধরা হয় ১৮ থেকে ২৫ এবং নারীদের জন্য ১৮ থেকে ২২। ওজন হতে হবে উচ্চতার সমানুপাতিক। বয়সও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী কর্মী খোঁজে। তবে কারও যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ৩৫ বছর পর্যন্তও বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ভালো দৃষ্টিশক্তিও খুব জরুরি। আবেদনকারীকে অবশ্যই লেন্স বা চশমা ছাড়াই সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পারতে হবে', যোগ করেন তিনি।

শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট নিশা হোসেন মীম জানান, এ-লেভেল বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় শেষ করা যে কেউ আবেদন করতে পারেন। এর ফলে তারা খুব অল্প বয়স থেকেই নিজেদের ক্যারিয়ার শুরু করতে সক্ষম হন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আরেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট মোহাম্মদ তকি তাহমিদ নোমান বলেন, 'স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী থাকাকালেই আমি চাকরি শুরু করেছিলাম। ক্লাস এবং চাকরির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা বেশ কঠিন ছিল। সে কারণে আমার পরামর্শ হলো, স্নাতক শেষ করে বা শেষ সেমিস্টারে এই চাকরিতে যোগ দেওয়া উচিত।'

কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট আশিয়া হুসেইন বলেন, 'আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনগুলোয় আবেদন করতে হলে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২১ এবং প্রার্থীকে অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণি শেষ করে আসতে হবে।'

বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোয় কাজ করতে গেলে এসব শারীরিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশপাশি ভাষাগত দক্ষতা এবং নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করাও খুব জরুরি।

তকি বলেন, 'সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারা, ভালো শব্দভাণ্ডার থাকা, আত্মবিশ্বাসী শারীরিক ভাষা এবং ভালো কর্মী ব্যবস্থাপনা দক্ষতাও এই পেশার জন্য অপরিহার্য।'

যদিও কিছু নির্ধারিত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া হয়ে থাকে, তবু এটি প্রতিযোগিতামূলক এবং বেশ কয়েকটি স্তরে চলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া।

তকি বলেন, 'প্রথমে হয় মৌখিক পরীক্ষা। তারপর স্ক্রিনিং শেষে হয় লিখিত পরীক্ষা। সবশেষে আরেকটি মৌখিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় প্রার্থীকে। আবেদনকারীর শক্তি এবং দুর্বলতা মূল্যায়নের জন্য গ্রুপ ওয়ার্ক ও লিখিত কিছুও কাজও করানো হয়।'

বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা তাদের অফিসিয়াল চাকরির পাতাগুলোয় লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবেদন জমা দেওয়ার সময় শেষ হলে প্রথমে প্রার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। তাদের ডাকা হয় সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য মূল্যায়নের জন্য। যারা এতে উত্তীর্ণ হন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাইটে যোগদানের আগে প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

এই প্রশিক্ষণটি হয় ভীষণ নিবিড় এবং এর সময় নির্ভর করে সংস্থার ওপর। এই সময়কাল এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত হতে পারে।

শামীমা বলেন, 'আমাদের প্রশিক্ষণে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার, অক্সিজেন মাস্ক, লাইফ জ্যাকেট পরার নিয়ম এবং জরুরি নির্গমণ প্রক্রিয়া, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার শেখানো হয়। আমাদের সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন এবং বিভিন্ন জরুরি চিকিৎসার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজে কারও হার্ট অ্যাটাক হলে বা কারও প্রসববেদনা উঠলে কী করতে হবে সেসবও।'

আশিয়া বলেন, 'কাতার এয়ারওয়েজে আমাদের দুই মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তা, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং গ্রাহক সেবাসহ সব বিষয়ে আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। প্রতি বছর অবশ্যই এই প্রশিক্ষণ নবায়ন করতে হয় এবং নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'একটা খুব ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে যে, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা কেবল খাবার এবং পানীয়ই পরিবেশন করে থাকেন। অথচ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের মূল দায়িত্বের বড় অংশ। উড়োজাহাজ আকাশে ওড়ার পর যাত্রীরা পুরোপুরি আমাদের দায়িত্বে থাকেন। এমনকি কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন বা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, তাহলেও সেটি দেওয়ার জন্য আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়।'

'যাত্রীদের অপ্রত্যাশিত আচরণ সামাল দেওয়াও আমাদের কাজের আরেকটি অংশ', বলেন তকি।

'কোনো কোনো যাত্রী উড়োজাহাজের ভেতরেই ধূমপানের চেষ্টা করেন, কেউ কেউ আক্রমণাত্মক আচরণ করেন এবং কেউ আবার উড়োজাহাজকে নিজের ব্যক্তিগত স্থানের মতো ব্যবহার করতে চান। এসব ক্ষেত্রে আমাদের খুব কৌশলী আচরণ করতে হয়। এ ধরনের ঘটনা হয়তো মাসে এক বা দুইবার ঘটে, কিন্তু কীভাবে এসব মোকাবিলা করতে হবে বা এসব ঘটনা সামাল দিতে হবে সে জ্ঞান থাকা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ', তিনি যোগ করেন।

অনেকের ধারণা, এই চাকরি খুবই গ্ল্যামারপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবতা তেমন নয়। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, একদিনে একাধিক ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন করা এবং লম্বা ভ্রমণের কারণে শারীরিক নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। নিয়মিত ঘুমের সময় পাওয়া যায় না, যার ফলে ক্লান্ত লাগে। আবার সব মিলিয়ে মানসিকভাবেও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।

নিশা বলেন, 'এটা এমন কোনো চাকরি নয় যেটা সবসময়ই খুব শৌখিন মনে হবে। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। যার মধ্যে রয়েছে জরুরি অবস্থা, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা। নির্দিষ্ট কোনো ছুটির দিন নেই, আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করি। এই চাকরির কারণে দিনের পর দিন পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। কখনো কখনো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাও শিফট করতে হতে পারে। এছাড়া কাজের সময়সূচিও অনির্ধারিত, যেকোনো সময় কাজ পড়ে যেতে পারে।'

বিষয়টি ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, 'আমরা ডিউটির একটি মাসিক তালিকা অনুসরণ করি, কিন্তু শেষ মুহূর্তে যেকোনো সময় এটি পরিবর্তিত হতে পারে। কখনো কখনো আমার টানা চার বা পাঁচটি ফ্লাইট থাকে এবং কেবল একদিন পাই বিশ্রামের জন্য। অন্য সময় আমি ১০টি ফ্লাইটে ডিউটি শেষে একদিন ছুটি পাই।'

শামীমা জানালেন, ব্যস্ত শিডিউল তার ব্যক্তিগত জীবনকেও নানাভাবে প্রভাবিত করে।

তিনি বলেন, 'আমি অনেক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেতে পারি না। জন্মদিন, বিয়ে তো বটেই, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে রাতের খাবার খাওয়ারও সুযোগ সবসময় হয় না। আপনার প্রিয়জনরা আপনাকে ছাড়াই কোনো উৎসব উদযাপন করছে, এটা মেনে নেওয়া কঠিন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার ঘুমের কোনো নির্দিষ্ট রুটিন নেই। আমার মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত লাগে, এমনকি ছুটির দিনটাও ক্লান্তিতে কাটে। কখনও কখনও সুস্থ থাকাও বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এর মধ্যেই আমরা সবকিছু ম্যানেজ করে চলতে শিখে যাই।'

তকি বলেন, 'আমাদের সবসময় প্রস্তুত এবং স্ট্যান্ডবাই থাকতে হয়। কখনো কখনো আগের রাতেও আমি জানতে পারি না যে পরদিন কোন গন্তব্যে উড়ে যাব। মাঝে মাঝেই হঠাৎ করেই ডিউটি পড়ে যায়।'

তবে এতসব চ্যালেঞ্জের পরেও, এই খাতের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা দারুণ আকর্ষণীয়।

শামীমা বলেন, 'প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারিত হয়। সেইসঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের ভাতা। এয়ারলাইন এবং কর্মীর অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলোয় বেতন হতে পারে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। আর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় এই বেতন চার লাখ পর্যন্ত ওঠে। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও সুযোগ-সুবিধাও।'

নিশা বলেন, 'আমি ১৮টি দেশ ঘুরেছি এবং লে-ওভারের সময় সেখানকার ভালো হোটেলগুলোয় থাকার সুযোগ পেয়েছি। বিমান বাংলাদেশে চাকরি করার কারণে আমার বাবা-মা, স্বামী এবং সন্তানও বছরে বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে থাকে।'

আশিয়া এ মুহূর্তে কাতারের দোহায় বসবাস করছেন।

তিনি জানালেন, সেখানে আবাসন এবং যাতায়াতের পুরো বিষয়টিই দেখভাল করে তার প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনে কাজ করার সবচেয়ে ভালো দিক হিসেবে তার মতে, নতুন একটি দেশে বসবাসের সুযোগ, নতুন একটি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অফিস থেকে সব ধরনের সমর্থন পাওয়া।

তিনি বলেন, 'ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা তাদের কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পান। বিশেষ করে যখন সব সেবা ঠিকঠাক মতো তারা দিতে পারেন এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আমরা সব সময় পরিবহন সংস্থার পাঁচ তারকা খ্যাতি বজায় রাখতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে কাজ করি।'

ক্যারিয়ারের অগ্রগতির দিক দিয়ে বিবেচনা করলে, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা কাজ এবং অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি পান।

২৪ বছর ধরে চাকরি করছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জুনিয়র পার্সার অপর্ণা পাল।

তিনি বলেন, 'কেউ কেউ পাঁচ বছর পরেই পদোন্নতি পান। কেউ আবার পান ১০ বছর পর। আমি পদোন্নতি পেয়েছিলাম ২০ বছর পরে।'

তিনি আরও বলেন, 'যাদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় তারা প্রায়ই দ্রুত অবসর নিয়ে নেন। যেহেতু বিমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় সংস্থা, তাই এখানে সরকারি অবসরনীতি মেনে চলা হয়। আমরা বেশ ভালো অংকের গ্রাচ্যুইটিও পাই। তবে কেউ আগে অবসরে যেতে চাইলে তাদের গ্রাচ্যুইটির পরিমাণ কমে যায়।'

এই চাকরিতে কর্মীরা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেহেতু দীর্ঘ কর্মঘণ্টা তাদের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি করে, তাই যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ায় জীবনযাপন সহজ হয় তাদের।

এছাড়া, তাদের অবসর পরবর্তী সময়টিও বেশ বৈচিত্র্যময়।

তকি বলেন, 'বেশিরভাগ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ২০ থেকে ৩০ বছর চাকরি করার পর অবসর নেন। এরপর তারা বিভিন্ন এয়ারলাইনে পরামর্শক বা প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। কেউ কেউ উদ্যোক্তাও হন। অনেকে আবার দেশের বাইরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। মোটকথা তাদের সামনে অনেকগুলো পথ খোলা থাকে। যা পরে অন্য কোনো ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করে।'

নিজের পথচলার কথা স্মরণ করার পাশাপাশি কাজ নিয়ে সন্তুষ্টির কথাও জানালেন তকি।

তিনি বলেন, 'নিজের দেশের সেবা করতে পেরে এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করি। যখন বিদেশে গিয়ে আমি মানুষকে বলি যে আমি একজন বাংলাদেশি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, তখন অনেকেই বেশ অবাক হন, পরিচিত হয়ে আনন্দিত হন। এই গর্ব এবং স্বীকৃতি আসলে সত্যিকার অর্থে আমার কাজকে, পেশাকে পরিপূর্ণ করে তোলে।'

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠার পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এই পেশা সবসময় ততটা আকর্ষণীয় নয়, যতটা বাইরে থেকে দেখতে মনে হয়। এই পেশায় অ্যাডভেঞ্চার আছে, আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে এবং বিশ্বকে ঘুরে দেখার সুযোগ আছে। যারা আকাশে ভেসে বেড়ানোর মতো কর্মক্ষেত্র খোঁজেন তাদের জন্য এই পেশা একদম উপযুক্ত হতে পারে।

অনুবাদ করেছেন শেখ সিরাজুম রশীদ

Comments

The Daily Star  | English

Yunus returns home completing 4-day Japan tour

A flight of Singapore Airlines, carrying the CA landed at Hazrat Shahjalal International Airport at 12:15am on Sunday

2h ago