অ্যাকুয়ারিয়ামে মাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

অ্যাকুয়ারিয়ামে মাছের যত্ন
ছবি: সংগৃহীত

ঘরের এক কোণে একটি বড় বা ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামে রঙিন মাছের ছোটাছুটি দেখতে মন্দ লাগে না। তবে অ্যাকুয়ারিয়াম শুধুই ঘর সাজানোর শোপিস নয়, কারণ এর মধ্যে থাকে জীবন্ত মাছ। তাই শখের এই জিনিসটিরও প্রয়োজন সঠিক যত্ন।

আজকের আলোচনায় এই যত্নের আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হবে।

অ্যাকুয়ারিয়ামের আকার ও মাছ নির্ধারণ

শুরুতেই নির্ধারণ করে নিতে হবে কী ধরনের মাছ অ্যাকুয়ারিয়ামে রাখতে চান। ছোট-বড় মাছ মিলিয়ে রাখতে চাইলে বড় অ্যাকুয়ারিয়াম দরকার হয়। আর যদি ছোট অ্যাকুয়ারিয়াম রাখতে চান তবে সেখানে একই জাতের ছোট ছোট মাছ রাখতে পারেন যেমন গাপ্পি, টেট্রা, হার্লি কুইন রাসবোরা, লিলি। কিছু রঙিন অ্যাকুয়ারিয়াম মাছ একা থাকতেই পছন্দ করে। ছোট অ্যাকুরিয়ামে সহজেই জায়গা দেওয়া যায় সেই মাছগুলোকে।

অ্যাকুয়ারিয়ামের পানি

অ্যাকুয়ারিয়ামের পানির তাপমাত্রা যত বেশি থাকবে সেই পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ ততই কম হবে। তাই পানিতে এয়ার পাম্পের সাহায্যে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩০-৪০ ভাগ পানি বদলে দিতে হবে। এতে মাছ ভালো থাকবে। অ্যাকুয়ারিয়ামের মধ্যে বেশ কিছু জলজ গাছ লাগালে পানির তাপমাত্রা কম থাকবে। পানি পরিষ্কার রাখতে ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে, পাশাপাশি এক মাস পরপর ফিল্টারের ভেতর থাকা অ্যাক্টিভেটেড কার্বন বদলে দিতে হবে।

মাছের যত্ন

পানির তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে মাছ সাধারণত ছত্রাকজনিত রোগ হতে পারে। তাই নজর রাখতে হবে এবং আক্রান্ত মাছকে যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনমতো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করুন। মাছ সরাসরি হাত দিয়ে না ধরে নেট দিয়ে ধরা উচিত। মাছের পাখনায় সংক্রমণ হয়ে চর্মরোগ দেখা দিলে অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন প্রয়োগ করতে হবে, যা অ্যাকুয়ারিয়ামের দোকানগুলোতেই পাওয়া যায়।

মাছের খাবার

মাছ কেনার সময় ভালো করে জেনে নিতে হবে কোন মাছ কী ধরনের খাবার খায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার না দিয়ে সময়মতো খাবার দিতে হবে অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছকে। এসব মাছ প্রক্রিয়াজাত শুকনো খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ন্যাচারাল ফুড বা জীবন্ত খাবার যেমন মশার লার্ভা, চিংড়ি খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে। মাছগুলোকে কম প্রোটিনযুক্ত এবং বেশি ফাইবার আছে এমন ধরনের খাবার দিয়ে হবে। এতে মাছের খাবার হজম করতে সহজ হবে।

অ্যাকুয়ারিয়াম পরিষ্কার

মাসে একবার সম্পূর্ণ অ্যাকুয়ারিয়াম পরিষ্কার করা প্রয়োজন। অ্যাকুয়ারিয়ামে যদি বেশি পরিমাণে মাছ থাকে সেক্ষেত্রে এক মাস হওয়ার আগেই পরিষ্কার করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা অ্যাকুয়ারিয়ামে প্রতি এক গ্যালন পানিতে একটির বেশি মাছ না রাখার পরামর্শ দেন। অ্যাকুয়ারিয়ামে কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকলে আগে সেটি বন্ধ করে নিয়ে মাছগুলোকে নিরাপদে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে সতর্কতার সঙ্গে।

অ্যাকুয়ারিয়ামে থাকা নুড়ি পাথর, কৃত্রিম গাছ, শোপিসগুলো ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ফিল্টারও মাসে একবার পরিষ্কার করা জরুরি। বাইরের দেয়াল পরিষ্কার করার জন্য কাগজের তোয়ালে ও সাদা ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ভেতরে নিয়মিত পরিষ্কার না করলে শ্যাওলা পরে স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Voting in Ducsu election underway

Students started casting their votes at 8:00am across polling centres set up in residential halls amid tight security. The balloting will continue until 4:00pm.

2h ago