স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি 

আল মাহমুদ স্মরণে চলছে তিনদিনব্যাপী স্মরণোৎসব

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি আল মাহমুদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী স্মরণোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।

প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ জেড এম আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি তাজ ইসলাম, রহমান মজিদ, সাদমান শাহিদ, ইমরান মাহফুজ ও কবি আল মাহমুদের ছেলে মীর মনির হোসেন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লিটন হোসেন জিহাদ। উপস্থিত ছিলেন কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন, শিক্ষক আবদুর রহিমসহ আরও অনেকে। 

এ সময় বক্তারা বলেন, আল মাহমুদ ছিলেন বাঙালি জাতিসত্তার কবি। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজ ও দেশের কথা বলতেন। যার ছোট গল্প, উপন্যাস ও কবিতা পাঠক হৃদয়ে সাড়া জাগিয়েছিল। তাই নতুন প্রজন্ম তাকে যাত বেশি জানবে তত বেশি সমৃদ্ধ হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'কবি আল মাহমুদ আমাদের সমাজের কথা বলতেন। দেশের কথা বলতেন। এই কারণে তাঁর লেখায় লোকজ উপাদান স্থান পেয়েছে। কবির পরিবার চাইলে "সোনালি কাবিন"–এর মতো কবিতাগুলো ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।'

ইব্রাহিম খান সাদাত বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হককে সোনালি কাবিন পদক প্রদান করা হবে। এ ছাড়া তিনি কবি আল মাহমুদকে স্বাধীনতা পদকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদানের দাবি জানান।

এ ছাড়া ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে কবির সাহিত্যকর্মের ওপরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কালের কলস আয়োজন করতে যাচ্ছে ‌‌‌'বিপ্লব বসন্তে আল মাহমুদ' শীর্ষক আবৃত্তি ও  স্মরণানুষ্ঠান

Comments

The Daily Star  | English

SC Secretariat Ordinance: Judges may hold executive posts

Lower court judges will be able to hold executive positions in the law ministry as well as state entities even after the establishment of a Supreme Court secretariat aimed at keeping the judiciary free from the executive’s influence, says a draft ordinance.

4h ago