বাংলা একাডেমিতে চলছে ‘বিজয় বইমেলা’

ছবি: প্রথম আলো

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে 'বিজয় বইমেলা'। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

পাঠকদের মতে, ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলার বাইরে বিজয় বইমেলা একটি সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় আয়োজন। এটি কেবল বই কেনাবেচার জায়গা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিজয়ের ইতিহাস ও জাতীয় পরিচয়ের সঙ্গে পাঠকদের নতুন করে সংযোগ স্থাপনের একটি কার্যকর মাধ্যম।

প্রথম আয়োজন হওয়ায় বিজয় বইমেলা বইপ্রেমীদের জন্য হয়ে উঠেছে ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা। মেলায় মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, রাজনীতি, সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী বইয়ের প্রতি পাঠকের আগ্রহ দেখা গেছে। তরুণ প্রজন্মের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মেলার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

মেলায় আসা কথাসাহিত্যিক তানজিম তানিম ডেইলি স্টারকে বলেন, আমাদের একাত্তরের অর্জনকে উপলক্ষ করে 'বিজয় বইমেলা' অসাধারণ একটি উদ্যাগ। লোক সমাগম কম হলেও বইয়ের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এমন কাজ অব্যহত রাখতে হবে। সবাইকে বইমেলায় আসার আহ্বান জানাই।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইস্রাফিল আকন্দ রুদ্র বলেন, বই নিয়ে এ আয়োজন নিয়মিত হওয়া জরুরি। এটি স্রেফ বই বেচাকেনার আয়োজন নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চিন্তাকে নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

শিশুসাহিত্যিক রবিউল কমল বলেন, আয়োজনটা দারুণ, কিন্তু প্রচারণার ঘাটতি আছে। একুশের মেলা নিয়ে যেভাবে প্রতিদিন মিডিয়াতে কাভারেজ থাকে, এখানে তা নেই। এ কারণে আয়োজনটা চমৎকার হলেও মানুষের উপস্থিতি কম। তবে এই আয়োজনটা অব্যাহত রাখতে হবে এবং মানুষের কাছে সেই খবরটা পৌঁছে দিতে হবে। যেন তারা জানে, প্রতিবছর ডিসেম্বরে বিজয় বইমেলার আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যেকোনো কিছুর শুরুতে এক ধরনের স্ট্রাগল থাকে। ধীরে ধীরে সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই আয়োজন অব্যাহত থাকলে অবশ্যই মেলা একসময় জাকজমকপূর্ণ হবে।

উল্লেখ্য, এবারের বিজয় বইমেলায় মোট ১৭০টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে দেশের শীর্ষ ১৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

Comments